1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিয়ানমার সেনাপ্রধানের ‘নতুন চাল'

১৬ নভেম্বর ২০১৭

শেখ হাসিনা বলেছেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ নজিরবিহীন সংকটের মুখোমুখি৷ রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরার ব্যবস্থা না হলে সংকট নিরসন সম্ভব নয়৷ অথচ রোহিঙ্গাদের ফেরানোর প্রশ্নে নতুন শর্ত আরোপ করেছেন মিয়ানমারের সেনাপ্রধান৷

https://p.dw.com/p/2njhp
Kind Lungenentzündung Bangladesch
ছবি: Getty Images/T.Mustafa

বুধবার জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সাম্প্রতিক সেনা অভিযানের কারণে রোহিঙ্গাদের জীবনে যে বিপর্যয় নেমে এসেছে, তার কারণে বাংলাদেশ এখন নজিরবিহীন সংকটের দ্বারপ্রান্তে৷ অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় বর্তমান পরিস্থিতি অনেক ভয়াবহ৷'' এখনো প্রতিদিনই রোহিঙ্গারা মিয়ানমার ছেড়ে বাংলাদেশে আসছেন – এ তথ্য জানিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘সমস্যাটা তৈরি করেছে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ, সমাধানও তাদেরই করতে হবে৷''

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নতুন শর্ত

রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা গ্রামগুলোতে নৃশসংসতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তদন্তের পর সম্প্রতি মিয়ানমার সেনাবাহিনী এক প্রতিবেদনে দাবি করেছিল, তাদের সেনারা হত্যা, ধর্ষণ নির্যাতন, ঘর-বাড়িতে আগুন দেয়ার মতো ঘটনা ঘটায়নি৷ এরপর রাখাইন রাজ্যে অভিযানের দায়িত্বে থাকা মেজর জেনারেল মাউং মাউংকে বদলি করা হয়৷

সব মিলিয়ে গত কয়েকদিন রোহিঙ্গা ইস্যুতে ঘুরেফিরেই খবরে এসেছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী৷ বৃহস্পতিবার সে দেশের সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং বলেছেন, শুধু ‘মিয়ানমারের প্রকৃত জনগণ' চাইলেই রোহিঙ্গারা ফিরতে পারে৷ নিজের ফেসবুক পেজে দেয়া ইংরেজিতে লেখা এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘‘রাখাইনের স্থানীয় লোকজন, যাঁরা মিয়ানমারের প্রকৃত নাগরিক, তাঁদের ইচ্ছাকেই এখন প্রাধান্য দিতে হবে৷ শুধু রাখাইনের স্থানীয় আদি বাসিন্দারা যখন মেনে নেবেন, তখনই কেবল সব জনগণ খুশি হবে৷''

গত ২৫ আগস্টের সেনা অভিযানের পর থেকে ৬ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে৷ বাংলাদেশ চায়, গত কয়েক দশক ধরে যারা গিয়েছেন এবং সম্প্রতি যারা নিপীড়ন, নির্যাতনের মুখে যেতে বাধ্য হয়েছেন, তাঁদের সবাইকেই মিয়ানমার ফিরিয়ে নিক৷ কিন্তু মিয়ানমার সেনাপ্রধান এ প্রসঙ্গে পরিষ্কার ভাষায় বলেছেন, ‘‘বাংলাদেশ যতজনকে নেয়ার কথা বলছে, ততজনকে গ্রহণ করা অসম্ভব৷''

রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে এইচআরডাব্লিউ এবং অ্যাঞ্জেলিনা জোলি

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডাব্লিউ) এক প্রতিবেদনে লিখেছে, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নৃশংসতার কারণে বাধ্য হয়ে দেশ ছেড়েছে রোহিঙ্গারা৷ ব্যাপক হত্যা, নির্যাতন এবং ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া গেছে বলেও দাবি করা হয় প্রতিবেদনে৷

দিকে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক বিশেষ দূত, হলিউড সুপারস্টার অ্যাঞ্জেলিনা জোলি মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নারীদের ওপর যৌন সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন৷ 

এসিবি/ডিজি (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান