1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষকের মানহানির অভিযোগ

২৬ আগস্ট ২০২২

রাজশাহীর পবা উপজেলার হাড়ুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারি শিক্ষিকা প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে তাকে কান ধরে ওঠবস করানোর অভিযোগ তুলেছেন৷

https://p.dw.com/p/4G4ei
প্রতীকী ছবিছবি: Suliman Niloy

প্রধান শিক্ষিকা পাল্টা অভিযোগ করেছেন, সহকারি শিক্ষিকা তার একটি ভিডিও আপত্তিকরভাবে এডিট করে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন৷

হাড়ুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এই দুই শিক্ষিকার এই অভিযোগ তদন্তে নেমেছে শিক্ষা বিভাগ৷ সহকারি শিক্ষিকা বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিলে এই তদন্ত শুরু হয়৷

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি সহকারি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোসাম্মৎ রুনা লায়লাকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন৷ আগামী রোববার প্রতিবেদন দাখিল করবেন তিনি৷

লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রধান শিক্ষিকা নাজমা ফেরদৌসী বুধবার সকালে তার কার্যালয়ে সহকারি শিক্ষিকাকে ডেকে পাঠান৷ সে সময় প্রধান শিক্ষিকার স্বামী শাহ নেওয়াজ সেখানে উপস্থিত ছিলেন৷ শাহ নেওয়াজ মোহনপুর সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক৷ এছাড়া সেখানে হাড়ুপুর বিদ্যালয়ের জমিদাতা আব্দুল আজিজ উপস্থিত ছিলেন৷ তাদের উপস্থিতিতে প্রধান শিক্ষিকা সহকারী শিক্ষিকাকে কান ধরে ওঠবস করান বলে অভিযোগ৷

প্রধান শিক্ষিকা এই অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা অভিযোগ তুলে বলেন, ‘‘ওই সহকারি শিক্ষিকা অন্য এক নারীর দেহের সঙ্গে আমার মুখমণ্ডল জুড়ে দিয়ে একটি ভিডিও তৈরি করেছেন৷ ভিডিওতে মেয়েটিকে নাচতে দেখা যাচ্ছে৷ তার সামনে দাঁড়িয়ে একজন পুরুষ মানুষ কথা বলছেন৷ ভিডিওটি সহকারি শিক্ষিকা তার নিজের ফেসবুক স্টোরিতে পোস্ট করেছেন৷’’

কান ধরে ওঠবস করানোর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমি কান ধরে ওঠবস করাইনি৷ সহকারী শিক্ষিকা যে অপরাধ করেছেন, তা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার আওতায় পড়ে৷ মামলা থেকে বাঁচার জন্য এখন মিথ্যা অভিযোগ সাজিয়েছেন এই সহকারী শিক্ষিকা৷’’

মামলা না করার কারণ জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষিকা বলেন, ‘‘সহকারি শিক্ষিকার স্বামী মারা গেছেন৷ তার প্রতি অনুকম্পা দেখিয়ে আমি মামলা করিনি৷’’

প্রধান শিক্ষিকার মাথা জুড়ে দিয়ে ভিডিও তৈরির অভিযোগ অস্বীকার করে সহকারি শিক্ষিকা বলেন, ‘‘আমি প্রধান শিক্ষিকার মাথা জোড়া লাগিয়ে কোনো ভিডিও তৈরি করিনি বা ফেসবুকে পোস্ট করিনি৷ "প্রধান শিক্ষিকার বান্ধবীর সঙ্গে তোলা সুন্দর, ভদ্র একটি ছবি আমি ফেসবুক স্টোরিতে দিয়েছিলাম৷ ওই ছবি প্রধান শিক্ষিকা নিজেই হোয়াটস অ্যাপে আমাকে দিয়েছিলেন৷

সহকারী শিক্ষিকা আরো বলেন, ‘‘সে সময় প্রধান শিক্ষিকা তিন দিনের ছুটিতে ছিলেন৷ গত রোববার তিনি বিদ্যালয়ে এলে কেউ একজন প্রধান শিক্ষিকার ছবি দেওয়ার বিষয়টি জানান৷ তখন প্রধান শিক্ষিকা আমার মোবাইল ফোনটি কেড়ে নেন৷ এখনও ফেরত দেননি ৷ ছবি দেওয়ার অপরাধে বুধবার আমাকে কান ধরে ওঠবস করান প্রধান শিক্ষিকা৷ আমাকে অন্যায়ভাবে শাস্তি দেওয়া হয়েছে৷ বাধ্য হয়ে আমি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি৷’’

এনএস/এসিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)    

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য