শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষকের মানহানির অভিযোগ
২৬ আগস্ট ২০২২প্রধান শিক্ষিকা পাল্টা অভিযোগ করেছেন, সহকারি শিক্ষিকা তার একটি ভিডিও আপত্তিকরভাবে এডিট করে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন৷
হাড়ুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এই দুই শিক্ষিকার এই অভিযোগ তদন্তে নেমেছে শিক্ষা বিভাগ৷ সহকারি শিক্ষিকা বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিলে এই তদন্ত শুরু হয়৷
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি সহকারি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোসাম্মৎ রুনা লায়লাকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন৷ আগামী রোববার প্রতিবেদন দাখিল করবেন তিনি৷
লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রধান শিক্ষিকা নাজমা ফেরদৌসী বুধবার সকালে তার কার্যালয়ে সহকারি শিক্ষিকাকে ডেকে পাঠান৷ সে সময় প্রধান শিক্ষিকার স্বামী শাহ নেওয়াজ সেখানে উপস্থিত ছিলেন৷ শাহ নেওয়াজ মোহনপুর সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক৷ এছাড়া সেখানে হাড়ুপুর বিদ্যালয়ের জমিদাতা আব্দুল আজিজ উপস্থিত ছিলেন৷ তাদের উপস্থিতিতে প্রধান শিক্ষিকা সহকারী শিক্ষিকাকে কান ধরে ওঠবস করান বলে অভিযোগ৷
প্রধান শিক্ষিকা এই অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা অভিযোগ তুলে বলেন, ‘‘ওই সহকারি শিক্ষিকা অন্য এক নারীর দেহের সঙ্গে আমার মুখমণ্ডল জুড়ে দিয়ে একটি ভিডিও তৈরি করেছেন৷ ভিডিওতে মেয়েটিকে নাচতে দেখা যাচ্ছে৷ তার সামনে দাঁড়িয়ে একজন পুরুষ মানুষ কথা বলছেন৷ ভিডিওটি সহকারি শিক্ষিকা তার নিজের ফেসবুক স্টোরিতে পোস্ট করেছেন৷’’
কান ধরে ওঠবস করানোর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমি কান ধরে ওঠবস করাইনি৷ সহকারী শিক্ষিকা যে অপরাধ করেছেন, তা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার আওতায় পড়ে৷ মামলা থেকে বাঁচার জন্য এখন মিথ্যা অভিযোগ সাজিয়েছেন এই সহকারী শিক্ষিকা৷’’
মামলা না করার কারণ জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষিকা বলেন, ‘‘সহকারি শিক্ষিকার স্বামী মারা গেছেন৷ তার প্রতি অনুকম্পা দেখিয়ে আমি মামলা করিনি৷’’
প্রধান শিক্ষিকার মাথা জুড়ে দিয়ে ভিডিও তৈরির অভিযোগ অস্বীকার করে সহকারি শিক্ষিকা বলেন, ‘‘আমি প্রধান শিক্ষিকার মাথা জোড়া লাগিয়ে কোনো ভিডিও তৈরি করিনি বা ফেসবুকে পোস্ট করিনি৷ "প্রধান শিক্ষিকার বান্ধবীর সঙ্গে তোলা সুন্দর, ভদ্র একটি ছবি আমি ফেসবুক স্টোরিতে দিয়েছিলাম৷ ওই ছবি প্রধান শিক্ষিকা নিজেই হোয়াটস অ্যাপে আমাকে দিয়েছিলেন৷
সহকারী শিক্ষিকা আরো বলেন, ‘‘সে সময় প্রধান শিক্ষিকা তিন দিনের ছুটিতে ছিলেন৷ গত রোববার তিনি বিদ্যালয়ে এলে কেউ একজন প্রধান শিক্ষিকার ছবি দেওয়ার বিষয়টি জানান৷ তখন প্রধান শিক্ষিকা আমার মোবাইল ফোনটি কেড়ে নেন৷ এখনও ফেরত দেননি ৷ ছবি দেওয়ার অপরাধে বুধবার আমাকে কান ধরে ওঠবস করান প্রধান শিক্ষিকা৷ আমাকে অন্যায়ভাবে শাস্তি দেওয়া হয়েছে৷ বাধ্য হয়ে আমি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি৷’’
এনএস/এসিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)