শান্তির খোঁজে পৃথিবীর পথে
সারাবিশ্বের নানা সংকটের মাঝেও কিছু মানুষ শান্তির কথা ছড়িয়ে যাচ্ছেন৷ জার্মানির লিন্ডাওয়ে বিশ্ব শান্তি সম্মেলনে এসেছিলেন তারা৷ হয়েছিলেন ডয়চে ভেলের মুখোমুখি৷
আলহাজ ইসহাক কুনলে, ইসলাম, নাইজেরিয়া
‘‘আমি পৃথিবীর সব ধর্মপ্রাণ মানুষের কাছে আহ্বান জানাই যে আপনারা বিদ্বেষমূলক কথা পরিহার করুন৷ কারণ এগুলোই সংকট তৈরি করে এবং যুদ্ধের দিকে ঠেলে দেয়৷ বরং তারা শান্তির কথা বলতে পারেন এবং সব ধর্মের সহাবস্থানের কথা বলতে পারেন৷’’
পাস্কারাকুরুক্কাল, হিন্দু, জার্মানি
‘‘পুরো বিশ্বের জন্য শান্তি খুব দরকার৷ শান্তি মানে বাইরের জায়গা কেনা নয়৷ শান্তি মানুষের অন্তরের ভেতরের বিষয়৷ যদি সবাই শুধু শান্তির চিন্তা করতে পারে, তাহলে পর্যায়ক্রমে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে৷’’
কিরন কৌর, শিখ, ইংল্যান্ড
‘‘ক্ষমা অর্থ পূনর্মিলন৷ আর পূনর্নিলনই শান্তির পথ৷’’
রাওনি মেটুকটিরে, কায়াপো আমাজনের পূর্ববাসিন্দা, ব্রাজিল
‘‘বন্ধুত্বের মাধ্যমেই কেবল সংঘাত দূর করা সম্ভব৷ মানুষ মানুষের শত্রু হতে পারে না৷ ঈশ্বর পর্বত বানিয়েছেন সবার জন্য৷ তিনি তার সব সন্তানের ভালো করেছেন৷ আমাদেরও পরস্পরের জন্য ভালো কিছু করতে হবে৷’’
হাইলে ফুডু, বাহা’ই, দক্ষিণ আফ্রিকা
‘‘শান্তি শুধু সম্ভবপর নয়, ভবিতব্য৷ পৃথিবীর ভবিষ্যত এখানেই৷ বিশ্ব একটি দেশ এবং মানুষ তার নাগরিক৷ আমাদেরই ঠিক করতে হবে কবে আমরা শান্তি চাই৷ সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এবং আধ্যাত্মিক মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাই পারে এই জটিল প্রক্রিয়াকে তরান্বিত করতে৷’’
রেভারেন্ড জ্যাকুয়েস বোস্টন, অ্যাংলিকান, গিনি কোনাক্রি
‘‘শান্তি নেই, তো উন্নয়ন নেই৷ উন্নয়ন নেই তো মানবতা নেই৷’’
আয়াতোল্লাহ আহমাদ মোবাল্লেগি, শিয়া, ইরান
‘‘আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেছেন, শান্তির পথ উত্তম৷’’
রাব্বি মার্সেলো বাটের, ইহুদি, আর্জেন্টিনা
‘‘সবার মাঝে সহযোগিতা ও আলোচনা শান্তি প্রতিষ্ঠার একমাত্র পথ৷’’
কোশো নিওয়ানো, বৌদ্ধ, জাপান
‘‘ভিন্নতার কারণেই আমাদের পৃথিবী সমৃদ্ধ৷ বৈচিত্র্যের মধ্য দিয়েই সমৃদ্ধি ছড়িয়ে দিতে হবে৷ এভাবেই আমরা পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করব৷’’
অ্যান্টনিসামি থোমায়, ক্যাথলিক, ভারত
‘‘প্রত্যেক মানুষ শান্তি চান, যা নিরাপত্তা দেয় এবং জীবনকে অর্থবহ করে৷ এভাবেই শান্তিময় পৃথিবী গড়া সম্ভব৷’’
পিতামহ ডমিনিক রেনকিন, অ্যাংলোকুইন ন্যাটিভ অ্যামেরিকান, ক্যানাডা
‘‘শান্তি এমন এক ব্যাপার যার জন্য আপনাকে নিজের ভেতরে প্রথমে কাজ করতে হবে৷ নিজেকে চিনুন, নিজের সঙ্গে প্রথমে কথা বলুন, এবং এরপরই কেবল আপনি অপরের শান্তির জন্য কাজ করতে পারবেন৷ আমরা বলি, একটা ভালোবাসা খুঁজুন৷’’