ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথগ্রহণ
২০ জানুয়ারি ২০১৭ঠিক দ্বিপ্রহরে (গ্রিনউইচ মান সময় ১৭০০) আব্রাহাম লিংকনের ব্যবহৃত বাইবেলের ওপর হাত রেখে শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তা দেখবে এক গভীরভাবে বিভক্ত দেশ ও তার দেশবাসী৷
গ্যালাপ পোল-এর সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী মাত্র ৪০ শতাংশ মার্কিনি ট্রাম্পের প্রতি সহানুভূতিশীল – সাম্প্রতিক সব প্রেসিডেন্টদের মধ্যে যা কিনা নিম্নতম৷ প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে বারাক ওবামার জনসমর্থন ছিল ৭৮ শতাংশ৷
ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর শপথগ্রহণ ভাষণে যে কী বলবেন – এবং কীভাবে বলবেন – তা ভবিষ্যদ্বাণী করার ক্ষমতা বড় বড় পণ্ডিতদেরও নেই৷ তবে সেটা যে ‘প্রেসিডেন্ট সুলভ' না হয়ে ট্রাম্প সুলভ হবে, এটা ধরে নেওয়া যেতে পারে৷
বিভক্ত বিশ্ব
ট্রাম্পের জয় ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর ক্ষমতাগ্রহণ শুধু অ্যামেরিকাই নয়, গোটা বিশ্বকেই বিভক্ত করেছে৷ লন্ডনের টাওয়ার ব্রিজের ওপর ঝোলানো শালুতে লেখা রয়েছে ‘‘সেতু বানাও, প্রাচীর নয়''৷ ফিলিপাইন্সে ট্রাম্প বিরোধীরা মার্কিন দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ করেছেন৷ টরন্টো কি সিডনি, আদ্দিস আবাবা কি ডাবলিন, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সর্বত্র৷
কিন্তু সবচেয়ে বড় প্রতিবাদ ঘটবে ঠিক সেখানেই, যেখানে ট্রাম্প শপথ গ্রহণ করবেন, অর্থাৎ ওয়াশিংটনে৷ ‘ডিসরাপ্টজে২০' অর্থাৎ ‘২০ জানুয়ারি ভণ্ডুল করো' আন্দোলন নানা ধরনের বাধা-বিলম্ব সৃষ্টি করে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ব্যাহত করার চেষ্টা করবে, বলে জানিয়েছে৷ অপরদিকে থাকবে ‘ফেস্টিভাল অফ রেজিস্টান্স' বা ‘প্রতিরোধের উৎসব'-এর মতো বিক্ষোভ সমাবেশ তথা ‘পথা উৎসব'৷ সরকারি প্যারেড রুটে প্রতিবাদ প্রদর্শন করবে ‘অ্যানসার কোয়ালিশন'-এর মতো যুদ্ধবিরোধী গোষ্ঠী৷
ওবামা-ম্যার্কেল ফোনালাপ
বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলকে টেলিফোন করে তাঁর স্থায়ী নেতৃত্বের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন৷ ওবামা বলেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে কোনো বিদেশি নেতার সঙ্গে তাঁর শেষ ফোনালাপ ম্যার্কেলের সঙ্গেই হওয়া উচিত, বলে তাঁর মনে হয়েছে৷ ম্যার্কেল ও তাঁর স্বামী ইওয়াখিম সাউয়ারকে গত আট বছরের বন্ধুত্বের জন্য ধন্যবাদ জানান ওবামা৷
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জশ আর্নেস্ট একটি বিবৃতিতে বলেছেন: ‘‘প্রেসিডেন্ট ও চ্যান্সেলর এ বিষয়ে একমত যে, একটি বলশালী আন্তঃ-অতলান্তিক সম্পর্ক, বিধিনির্ভর আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা ও যে মূল্যবোধ আমাদের উভয় দেশে ও সারা বিশ্বে মানব প্রগতি অর্জনের জন্য এতো কিছু করেছে, তার সুরক্ষার জন্য ওয়াশিংটন ও বার্লিন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা অতিমাত্রায় আবশ্যক৷''
এসি/ডিজি (এপি, ডিপিএ, রয়টার্স)
এ বিষয়ে আপনার কিছু বলার থাকলে লিখুন নীচের ঘরে৷