লেবাননে ইসরায়েলের হামলা, তেল আভিভে হেজবোল্লার
২৬ আগস্ট ২০২৪ইসরায়েল দাবি করেছে, তারা হেজবোল্লার রকেট ও ড্রোন আক্রমণ রুখতে দক্ষিণ লেবাননে হেজবোল্লার ঘাঁটিতে আক্রমণ চালায়। তাদের দাবি, হাজারো রকেট লঞ্চার ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে।
হেজবোল্লা জানিয়েছে, তারা তেল আভিভে ইসরায়েলের সামরিক ঘাঁটিতে আক্রমণ করেছে। তারা মোট ৩২০টি রকেট ছুড়েছে।
হেজবোল্লা জানিয়েছে, তাদের তিনজন সদস্য মারা গেছেন। ইসরায়েল বলেছে, তাদের নৌবাহিনীর একজন সদস্য মারা গেছেন।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে লেবানন সীমান্তে প্রায় প্রতিদিনই গুলির লড়াই চলে। কিন্তু গত ১০ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বড় আক্রমণ ও প্রতি আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে রোববার।
যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, এই সংঘাত যাতে না বাড়ে তার জন্য তারা চেষ্টা করছে। এই সংঘাত বাড়লে ইসরায়েল ও হেজবোল্লার মধ্যে পুরোদস্তুর যুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে।
ইসরায়েলের দাবি
ইসরায়েলের সেনা জানিয়েছে, তাদের প্রায় একশটি যুদ্ধবিমান লেবাননে গিয়ে হেজবোল্লার হাজার হাজার রকেট লঞ্চার ধ্বংস করেছে। অধিকাংশ লঞ্চারের অভিমুখ ছিল উত্তর ইসরায়েল এবং কিছু মধ্য ইসরায়েলে হামলা করার জন্য রাখা হয়েছিল।
সামরিক মুখপাত্র নাদাভ শোশানি সাংবাদিকদের বলেছেন, হেজবোল্লাও উত্তর ইসরায়েল লক্ষ্য করে কয়েকশ রকেট ও ড্রোন ছুঁড়েছে।
হেজবোল্লা প্রধানের বক্তব্য
হেজবোল্লা প্রধান হাসান নাসরাল্লা বলেছেন, তারা তেল আভিভের কাছে ইসরায়েলে সেনা সদরদপ্তরে গোয়েন্দা ঘাঁটিতে আক্রমণ করেছেন।
নাসরাল্লা টেলিভিশন ভাষণে বলেছেন, তাদের লক্ষ্য ছিল ইসরায়েলের ঘিলট ঘাঁটি। তিনি দাবি করেছেন, ইসরায়েলের আক্রমণ সত্ত্বেও হেজবোল্লার কাছে থাকা ক্ষেপণাস্ত্রের কোনো ক্ষতি হয়নি।
ইসরায়েলের সেনার দাবি
ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তেল আভিভের কাছে তাদের ঘাঁটিতে কেউ কোনো আঘাত করতে পারেনি। বরং তারা লেবানন গিয়ে কয়েক হাজার রকেট লঞ্চার ধ্বংস করতে পেরেছেন।
শান্তি আলোচনায় ফল হলো না
হামাসের তরফ থেকে রোববার জানানো হয়েছে, তারা কায়রোয় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা ছেড়ে চলে যাচ্ছেন।
অ্যামেরিকা, মিশর ও কাতারের উদ্যোগে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে ১০ মাসের সংঘাত বন্ধের জন্য এই শান্তি আলোচনা হচ্ছিল।
হামাসকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বলে ঘোষণা করেছে, যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ, ইসরায়েল-সহ কয়েকটি দেশ।
হামাস আগে জানিয়েছিল, তাদের প্রতিনিধিদল কায়রো গিয়ে মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে আলোচনা করবে। তারা যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনায় অংশ নেবে না। রোববার সন্ধ্যায় হামাস কর্মকর্তা ইজজত আল-রিশক জানিয়েছেন, মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে তাদের কথা হয়েছে। তারপর প্রতিনিধিদল কায়রো ছেড়ে চলে গেছেন।
গাজার সঙ্গে মিশরের সীমান্তে ফিলাডেলফি করিডোরে ইসরায়েলের সেনার উপস্থিতি নিয়ে বিরোধ থেকে গেছে। হামাসের দাবি, ইসরায়েল প্রতিশ্রুতি দিয়েও সেনা সরায়নি। তাদের বক্তব্য, ইসরায়েল নতুন করে কয়েকটা দাবি করছে। কিন্তু নতুন কোনো শর্ত মানতে হামাস রাজি নয়।
হামাসের রকেট হামলা
হামাস জানিয়েছে, তারা তেল আভিভের দক্ষিণে রকেট হামলা করেছে। গাজায় ইসরায়েলি হামলার পাল্টা হিসাবেই এম ৯০ রকেট হামলা বলে তারা জানিয়েছে।
ইসরায়েলের সেনা জানিয়েছে, হামাসের রকেট খোলা মাঠে গিয়ে পড়েছে। কেউ হতাহত হয়নি।
জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স)