লন্ডনে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ সম্পর্কে আমরা যা জানি

বুধবার গ্রিনিচ মানসময় ১৫:০০-টার অল্প কিছুক্ষণ আগে লন্ডন পার্লামেন্টের সামনে গুলি এবং চিৎকারের শব্দ শোনা যায়৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ দ্রুত সেখানে পৌঁছায়৷ হাউস অফ কমন্সও পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়া হয়৷ ঘটনার প্রাথমিক খবরগুলো প্রকাশ করতে থাকে ঘটনাস্থলে আটকে পরা রাজনীতিবিট কভার করা সাংবাদিকরা৷

প্রাথমিক খবরে জানা যায়, পার্লামেন্টের সামনে ছাড়াও ওয়েস্টমিনিস্টার ব্রিজের উপর একটি গাড়ি বেশ কয়েকজনকে চাপা দেয়৷ গাড়িটি ‘বিগ বেন’-এর সামনে একটি গেটে ধাক্কা খেয়ে থেমে যায়৷

ঘটনার পর ওয়েস্টমিনিস্টার প্যালেস ঘিরে ফেলে পুলিশ৷ গণমাধ্যমও জানাতে থাকে যে ছুরি হাতে এক ব্যক্তি পুলিশের ওপর হামলা চালায়৷ পুলিশও তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়৷ তবে হামলাকারীর বিস্তারিত পরিচয় এখনো জানা যায়নি৷

হামলার পরপরই লন্ডনের ট্রান্সপোর্ট কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট এলাকার দিকে যাওয়া সব বাসের গতিপথ বদলে দেয়৷ ওয়েস্টমিনিস্টার সিটিতে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ সব সরকারি কার্যালয় এবং এটি শহরের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্রও বটে৷ সেখানে কর্মরত কর্মীরা এদিন বিকল্প পথে বাড়ি ফিরেছেন৷

ওয়েস্টমিনিস্টারে হামলার পর আন্তর্জাতিক নেতারা শোক প্রকাশ করেছেন৷ জার্মান চ্যান্সেল আঙ্গেলা ম্যার্কেল সব রকম সন্ত্রাসী তৎপরতার বিরুদ্ধে সংগ্রামে যুক্তরাজ্যের পাশে থাকার অঙ্গীকার পুর্নব্যক্ত করেছেন৷ স্কটিশ ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলাস স্টারজেনও তাঁর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন এবং স্কটিশ সংসদে দ্বিতীয় স্বাধীনতা বিষয়ক গণভোট নিয়ে বিতর্কও বাতিল করা হয়েছে৷

হামলার পর ঘটনাস্থলে নিরাপত্তা বাহিনী এবং উদ্ধারকারী দলে ছেয়ে যায়৷ হেলিকপ্টার এবং ড্রোন ঘটনাস্থলে উড়তে দেখা যায়৷ বৃহস্পতিবার পুলিশের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ওয়েস্টমিনিস্টারে হামলায় প্রাণ হারিয়েছে একজন পুলিশ, দুই বেসামরিক নাগরিক এবং আততায়ীসহ মোট চার ব্যক্তি৷ এছাড়া আহত হয়েছেন অনেকে, যাদের কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক৷

ওয়েস্টমিনিস্টারে হামলার দায় কেউ এখনো স্বীকার করেনি৷ আর পুলিশের তরফ থেকে বিষয়টির তদন্ত করা হচ্ছে এবং এখন অবধি সাতজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে৷ এই বিষয়ে জল্পনা-কল্পনা থেকে বিরত থাকতে এবং ঘটনার ছবি বা ভিডিও ইন্টারনেটে প্রকাশ বা শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতেও অনুরোধ করেছে লন্ডন পুলিশ৷