রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ক্রস ভোট
১৯ জুলাই ২০২২ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএ তথা বিজেপির প্রার্থী আদিবাসী নারী দ্রৌপদী মুর্মু। অন্যদিকে, বিরোধী জোটের প্রার্থী ছিলেন যশবন্ত সিনহা। অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি, শরদ পাওয়ারের ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টি যশবন্তকে সমর্থন করেছিল। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল, সেই সমাজবাদী পার্টি (সপা) এবং ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) কোনো কোনো বিধায়ক দলের নির্দেশ অমান্য করে দ্রৌপদী মুর্মুকে ভোট দিয়েছেন। আগামী ২১ তারিখ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে। কিন্তু তার আগেই এই তথ্য সামনে এসেছে।
উত্তরপ্রদেশের বরেলির ভোজিপুরার সমাজবাদী পার্টির বিধায়ক শাহজিল ইসলাম দ্রৌপদীকে ভোট দিয়েছেন বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে। গুজরাটে এনসিপি বিধায়ক এস জাদেজাও দ্রৌপদীকে ভোট দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এছাড়াও দুই দলের আরো বেশ কিছু বিধায়ক একই কাজ করেছেন বলে দলীয় সূত্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে।
ওড়িশা এবং অসমেও বেশ কিছু ক্রস ভোটিং হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এআইইউডিএফ বিধায়ক করিমুদ্দিন বারভুইয়া দাবি করেছেন যে, অসমের কংগ্রেস বিধায়করা ক্রস ভোটিং করেছেন। প্রায় ২০ জন কংগ্রেস বিধায়ক একাজ করেছেন বলে তার দাবি। ওড়িশার কংগ্রেস বিধায়ক মহম্মদ মোকিম প্রকাশ্যেই জানিয়েছেন, তিনি দ্রৌপদীকে ভোট দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ''দ্রৌপদীকে ভোট দেওয়া আমার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। বিবেকের কথা শুনেছি।'' রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে কোনো হুইপ থাকে না বলে ক্রস ভোটিং করাটা সহজ।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক আশিস গুপ্ত ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, ''রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, আদিবাসী নারীকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী ঘোষণা করে বিজেপি আসলে ট্রাম্প কার্ড খেলেছিল। তখনই বোঝা গেছিল, ক্রস ভোটিং হবে। কারণ, আদিবাসী, জনজাতি ভোট ব্যাংককে নষ্ট করতে চাইবেন না অনেকেই। বাস্তবেও তেমনই ঘটেছে।''