1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নারী নিরাপত্তা

১০ সেপ্টেম্বর ২০১২

বিশেষ করে ভারতে এটা একটা সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ তথ্য প্রযুক্তি এবং কল সেন্টারের যুগে মহিলাদের রাতের শিফ্টে কাজ না করে উপায় নেই৷ অথচ পুরুষ-অধ্যুষিত সমাজে তাদের নিরাপত্তা দেওয়া খুব সহজ কথা নয়৷

https://p.dw.com/p/1661E
ছবি: AP

ভারতের রাজধানী নতুন দিল্লিকে যে ধর্ষণের রাজধানী বলা হয়ে থাকে, সে খবর জার্মানিতেও পৌঁছেছে৷ কল সেন্টারের মহিলা কর্মী থেকে শুরু করে বিমান পরিচারিকা, যাদেরই দিনের পরিবর্তে রাতে কাজ করতে হয়, তাদেরই যৌন হয়রানি থেকে শুরু করে ধর্ষণের শিকার হবার ভয় থাকে৷

জার্মানির ডিপিএ সংবাদ সংস্থা সম্প্রতি একটি পূর্ণাঙ্গ বিবরণ প্রকাশ করেছে, যার মূল বক্তব্য হল এই যে, ভারতে নতুন প্রজন্মের মহিলারা সব বিপদ সত্ত্বেও, ‘নিজের উপর কারফিউ জারি করতে' রাজি নন৷ কথাটা ডিপিএ'কে বলেছেন প্রীতি সিং, যিনি গুরগাঁওতে একটি কল সেন্টারে কাজ করেন৷

ডিপিএ'র সংবাদদাতা যাদের সঙ্গে কথা বলেছেন, তাদের মধ্যে কেউ পেপার স্প্রে ব্যাগে রেখে, গাড়ির জানালা বন্ধ করে এবং মোবাইল ফোন পাশে রেখে রাতে গাড়ি চালিয়ে কাজ থেকে ফেরেন৷ আইটি শিল্প, মিডিয়া এবং হোটেলের অন্যান্য মহিলা কর্মীদের জন্য রাতে বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করা আছে অফিসের তরফ থেকে৷ কিন্তু সেক্ষেত্রেও গাড়ির ড্রাইভার কিংবা গার্ডের হাতে রেপ হবার ভয় থেকে যায়৷ সে ধরণের ঘটনা অতীতে ঘটেছে এবং ভবিষ্যতেও ঘটতে পারে৷

সমাজতাত্ত্বিকরা বলছেন, ভারতীয় সমাজ এখন একটা পরিবর্তনের আবর্তে৷ পুরুষদের কর্তৃত্ব কমছে৷ একই সঙ্গে, বিশেষ করে বড় শহরগুলোতে, কাজের খোঁজে আসছে গ্রামাঞ্চলের অপেক্ষাকৃত অল্পশিক্ষিত, সবলদেহী পুরুষেরা৷ এরা আবার কর্মরতা শহুরে মহিলাদের চেয়ে অনেক কম মাইনে পায়৷

গুরগাঁও'এর প্রীতি সিং'এর বক্তব্য হল, মহিলাদের সাবধান থাকতে হবে৷ অপরদিকে তারা তাদের শহর, তার পথঘাট, সিনেমা, রেস্তোরাঁয় অবাধ বিচরণের অধিকারও বজায় রাখবার চেষ্টা করবে৷ মহিলাদের শুধু শিকার, শুধু বধ্য হয়ে থাকলে চলবে না৷ রাতে মহিলাদের পথেঘাটে দেখাটা যখন সাধারণ হয়ে আসবে, তখনই মহিলাদের বিরুদ্ধে যৌন সহিংসতা কমবে৷

‘‘এই শহর অন্য সকলের মতো আমারও শহর৷ আমি নিজের ওপর কারফিউ জারি করতে পারব না,'' বলেছেন প্রীতি সিং৷

এসি / এসবি (ডিপিএ)