রাঙিয়ে দিয়ে যাও
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক দেশ বাংলাদেশ, এ'টা যে একটা ঐতিহাসিক মুহূর্ত, সে চেতনা সর্বত্রই৷ ‘ক্রিকেট ইতিহাসে কোনো আয়োজনের সবচেয়ে ঝলমলে উদ্বোধন,' আখ্যা দিয়েছে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম৷ ‘গতসন্ধ্যায় ক্রিকেট বিশ্বের সব রঙ একসঙ্গে মিলেছিল ঢাকাতে... এখন থেকে বিশ্বের যে কোনো জায়গায় দাঁড়িয়ে যে কোনো বাংলাদেশি গর্ব করে বলতে পারবেন - বিশ্বায়নের সঙ্গে আমরাও আছি': লিখছে সমকাল৷ ‘নতুন ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ,' লিখছে ইত্তেফাক৷ গ্যালারিতে ত্রিশ হাজার দর্শক, স্টেডিয়ামের চারপাশে আরো এক লাখ৷ পল্টনে কোনো রাজনৈতিক জনসভায় এমন জনসমুদ্র কেউ দেখেছে কিনা, প্রশ্ন তুলেছেন জনকণ্ঠের প্রতিবেদক৷ লিখছেন: ‘সেখানে তো আদর্শ আর বিশ্বাসে ভাগ হয়েছে বাঙালী৷ কিন্তু গতকালের অনুষ্ঠান তো তা নয়৷ এ যে একখণ্ড বাংলাদেশ৷ না না এ তো ভারত... তাও হলো না, শ্রীলঙ্কা৷ আসলে পুরো ভারতবর্ষ৷'
উপমহাদেশের বিশ্বকাপ
কিন্তু ঢাকা-চট্টগ্রামেরও বটে৷ নয়তো রিকি পন্টিং, গ্রায়েম স্মিথ'দের - যুগান্তরের ভাষায় - ‘ঢাকার আদিবাহনে চড়ে' বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রবেশ করতে হতো না৷ অপরদিকে কলকাতার দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা যে লিখেছে, ‘ক্রিকেট প্রাণশক্তিতে ঢাকাই এ সপ্তাহে বিশ্বক্রিকেটের রাজধানী,' সে উদ্ধৃতি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে স্থান পেয়েছে৷
সমালোচনার রেশ
কালের কণ্ঠে প্রতিবেদক লিখেছেন, ‘প্রযুক্তি আর আধুনিকতা এমন জায়গায় গেছে যে, আজকাল খরচা করলে জমকালো আয়োজন খুবই সম্ভব৷ এবং যারা বেশি খরচ করতে পারে, যারা প্রযুক্তিতে এগিয়ে তারা সব পিলে চমকানো অনুষ্ঠান করে৷ তাই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানগুলোর চেহারার মধ্যে ফারাক বের করা মুশকিল৷' ওদিকে কালের কণ্ঠের আরেক প্রতিবেদক আলাদা করে প্রশ্ন তুলেছেন ‘ভাষার মাসে উর্দু গান' নিয়ে, যেহেতু রুনা লায়লা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ‘মস্ত্ কলন্দর' গানটি গেয়েছেন৷ আর বিশ্বকাপের হিড়িকে বইমেলায় ভিড় কমে গেছে, সেদিন বই বিক্রি কম হয়েছে, এ'খবরও আছে বিভিন্ন সংবাদ-সংস্থা এবং পত্রিকায়৷ শুধু ছড়ালেখক দিলদার হোসেনের ছড়ার বই ‘বিশ্বকাপ, বাপরে বাপ' নাকি ভালো সাড়া পেয়েছে, বলে তিনি জানিয়েছেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে৷
গ্রন্থনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: সাগর সরওয়ার