যৌন হেনস্থার অভিযোগ এক নারী কর্মীর, অস্বীকার রাজ্যপালের
৩ মে ২০২৪পুলিশের কাছে চিঠি দিয়ে রাজভবনের এক অস্থায়ী নারী কর্মী অভিযোগ করেছেন, গত ২৪ এপ্রিল ও ২ মে রাজ্যপালের সঙ্গে তিনি সাক্ষাৎ করেছিলেন এবং দুই বারই তাকে যৌন হেনস্থা করেন রাজ্যপাল।
বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশের বড়কর্তারা ওই নারীর সঙ্গে কথা বলেন।
রাজ্যপাল অবশ্য যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন, ''সাজানো অভিযোগে ভয় পাই না। সত্যের জয় হবে। আমাকে অপবাদ দিয়ে কেউ যদি ভোটে লাভ খুঁজতে চায়, তাহলে ঈশ্বর তাদের করুণা করুন। পশ্চিমবঙ্গের দুর্নীতি ও সহিংসতার বিরুদ্ধে আমি লড়াই চালিয়ে যাব।''
বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশের বড়কর্তারা ওই নারীর সঙ্গে কথা বলেন।
রাজভবনের সিদ্ধান্ত
রাজভবনের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, রাজভবন চত্বরে পুলিশ ঢুকতে পারবে না। রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যও রাজভবনে আসতে পারবেন না। চন্দ্রিমা কোনো অনুষ্ঠানে থাকলে রাজ্যপাল যাবেন না।
চন্দ্রিমা রাজ্যপালের বিরুদ্ধে একটা বিবৃতি দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ''রাজ্যপালের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন এক মহিলা। তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। এটা কী ধরনের ঘটনা ঘটছে! যে রাজ্যপাল বলেন, তিনি ‘পিসরুম' খুলে সকলের অভিযোগ শুনবেন এবং তার নিষ্পত্তি করবেন। সেই ‘পিসরুম' কি আসলে নারী সম্মানের ‘পিস হাভেন' হয়ে গিয়েছে?''
রাজভবনের ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘রাজ্যপালের সম্মানহানি এবং তাঁর বিরুদ্ধে অসাংবিধানিক বিবৃতি দেওয়ার জন্য চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। কলকাতা, দার্জিলিং এবং ব্যারাকপুরের রাজভবনে তিনি ঢুকতে পারবেন না।'' চন্দ্রিমা কোনও অনুষ্ঠানে থাকলে সেখানেও যাবেন না রাজ্যপাল। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘চন্দ্রিমার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কী পদক্ষেপ করা যায়, তা জানতে দেশের অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে পরামর্শও চেয়েছেন রাজ্যপাল।''
কী অভিযোগ?
এই নারী বলেছেন, রাজ্যপালের কথামতো তিনি ২৪ এপ্রিল তার সঙ্গে দেখা করেন। রাজ্যপাল তাকে কুপ্রস্তাব দেন ও স্পর্শ করেন।
২ মে রাজ্যপাল আবার তাকে ডেকে পাঠান। ওই নারী একজন সুপারভাইজারকে সঙ্গে নিয়ে যান। এবার কনফারেন্স রুমে কথা হয়। রাজ্যপাল সুপারভাইজারকে চলে যেতে বলেন এবং তাকে চাকরি পাকা করার কথা বলেন এবং আবার স্পর্শ করতে চান। ওই নারী জানিয়েছেন, তিনি সঙ্গে সঙ্গে চলে আসেন।
পুলিশের বক্তব্য
পুলিশ জানিয়েছে, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা যায় না। তবে অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
জিএইচ/এসজি(পিটিআই, আনন্দবাজার)