যুদ্ধবিরতি নিয়ে কী বলছেন বিশ্বনেতারা
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হলো। বিশ্বনেতারা খুশি। তবে তাদের মতে, এবার শান্তি আলোচনা জরুরি।
বাইডেনের প্রতিশ্রুতি
অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যুদ্ধবিরতিকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, তার প্রশাসন ফিলিস্তিনে মানবিক সাহায্য পৌঁছে দেবে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের বক্তব্য, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মানুষের নিরাপদে জীবনযাপনের সমান অধিকার আছে। সমান স্বাধীনতা আছে। এটাই সুযোগ, উন্নতির লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ার।
সহিংসতা বন্ধের পক্ষে যুক্তরাজ্য
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব টুইট করে বলেছেন, ''এই যুদ্ধবিরতি যাতে দীর্ঘস্থায়ী হয়, সেজন্য সব পক্ষকে কাজ করতে হবে। সহিংসতা এবং সাধারণ মানুষের মৃত্যু মেনে নেয়া যায় না। এই সহিংসতা বন্ধ করতে হবে। যুক্তরাজ্য শান্তির জন্য যে কোনো উদ্যোগকে সমর্থন করবে।''
মিশরের প্রেসিডেন্ট
মিশরের মধ্যস্থতায় এই যুদ্ধবিরতি সম্ভব হয়েছে। তাই মিশরকে ধন্যবাদ দিয়েছেন বাইডেন। তারপরই মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফতাহ আল-সিসি বলেছেন, ''যুদ্ধবিরতির পিছনে বাইডেনের অবদান প্রচুর।' উপরের ছবিতে মিশরের প্রেসিডেন্ট ডানদিকে।
জাতিসংঘের প্রতিক্রিয়া
জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, ১১ দিনের মারাত্মক সংঘাত শেষের ঘোষণাকে তিনি স্বাগত জানাচ্ছেন। গুতেরেস বলেছেন, ''এই সংঘাত কেন হলো, তার মূল কারণ খুঁজতে হবে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনকে। তাদের আলোচনা শুরু করতে হবে।''
প্রথম পদক্ষেপ, বলল পাকিস্তান
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি বলেছেন, ''সকলে যুদ্ধবিরতির জন্য চেষ্টা করেছিলেন। এটা হলো সেই সম্মিলিত শক্তির ফল। তবে এটা ফিলিস্তিনে শান্তি আসার ক্ষেত্রে প্রথম পদক্ষেপ।''
শান্তি আলোচনা চায় সুইডেন
সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাান লিন্ডে বলেছেন, ''এটা ভাল খবর। এখন গাজায় মানবিক সাহায্য পৌঁছানো সব চেয়ে জরুরি কাজ। তারপর শান্তি আলোচনা করতে হবে।''