যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ‘রাজনীতির গুটি’ করা হচ্ছে?
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অভিবাসন নীতি পছন্দ না হওয়ায় টেক্সাসের রিপাবলিকান গভর্নর অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ডেমোক্র্যাটশাসিত বিভিন্ন শহর ও রাজ্যে পাঠিয়ে দিচ্ছেন৷
বাসে করে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের শিকাগো যাত্রা
সীমান্ত পাড়ি দিয়ে মেক্সিকো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বাসে উঠতে দেখা যাচ্ছে৷ প্রায় ২,২৫০ কিলোমিটার দূরের শিকাগো যেতে তাদের টাকা দিতে হয় না৷
বাইডেনের অভিবাসন নীতির বিরোধিতা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অভিবাসন নীতির বিরোধিতা করে আসছেন রিপাবলিকান নেতারা৷ মেক্সিকো-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তে অবস্থিত মার্কিন রাজ্য টেক্সাসের রিপাবলিকান গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট অভিবাসনপ্রত্যাশীদের তার রাজ্যে থাকতে দিতে চান না৷ তাই তিনি রাজ্যের খরচে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ডেমোক্র্যাট নেতাদের শাসনে থাকা বিভিন্ন শহরে পাঠানোর ব্যবস্থা করছেন৷
খরচ ১০০ মিলিয়ন ডলার
২০২২ সালের এপ্রিল থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় এক লাখ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে টেক্সাস থেকে শিকাগো, নিউইয়র্ক ও ডেনভারের মতো ডেমোক্র্যাটদের শাসনে থাকা বিভিন্ন শহরে পাঠানো হয়েছে৷ এতে ১০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি খরচ হয়েছে৷ ছবিতে টেক্সাসের ব্রাউনসভিলে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জন্য তৈরি একটি প্রোসেসিং সেন্টার দেখা যাচ্ছে৷
ডেমোক্র্যাটরাও খুশি নন
বাইডেনের নীতির কারণে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ঢল নামায় বিভিন্ন শহরের ডেমোক্র্যাট গভর্নর ও মেয়ররাও খুশি নন৷ অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সামলাতে তারা সরকারের কাছে আরো বেশি তহবিল দাবি করছেন৷
রাজনীতির গুটি?
হোয়াইট হাউসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা টম পেরেজ বলছেন, বাইডেন প্রশাসন ডেমোক্র্যাট গভর্নর ও মেয়রদের হতাশা বুঝতে পারছে৷ বাইডেন অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আশ্রয় দেওয়া শহরগুলোর জন্য আরও বেশি তহবিল জোগাড়ের চেষ্টা করছেন বলেও জানান তিনি৷ পেরেজ বলেন, টেক্সাসের গভর্নর অ্যাবটের মতো কট্টরপন্থি রিপাবলিকানরা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ‘রাজনীতির গুটি’ হিসেবে ব্য়বহারের চেষ্টা করছেন৷
পুলিশ স্টেশনের বাইরে রাত কাটানো
বর্তমানে শিকাগোতে ১৫ হাজারের বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন৷ এছাড়া কিছু অভিবাসনপ্রত্যাশীকে পুরো শরৎকালটা পুলিশ স্টেশনের বাইরে ঘুমিয়ে কাটাতে হয়েছে৷
নিউইয়র্কে আশ্রয় নিয়েছেন ৬৯ হাজারের বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী
গৃহহীনদের আশ্রয় দিতে আইনগতভাবে বাধ্য নিউইয়র্ক৷ তাই সেখানে বর্তমানে ৬৯ হাজারের বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী বিভিন্ন হোটেল, সরকারি ভবন ও তাঁবুতে আশ্রয় নিয়ে আছেন৷