1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

'যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তে বিএনপির সন্তুষ্টি-অসন্তুষ্টি নেই'

৩০ ডিসেম্বর ২০২৩

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খানের কাছে প্রশ্ন ছিল, অ্যামেরিকা বিএনপিকে গাছে তুলে মই সরিয়ে নিয়েছে কিনা। জবাবে তিনি ডয়চে ভেলেকে এই উত্তর দেন।

https://p.dw.com/p/4ajKh
খালেদ মুহিউদ্দীন প্রশ্ন করেন, বিএনপি কি আশা করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে বা ইউরোপের কারো কথায় একটি অন্য নির্বাচন দিতে বাধ্য করতে পারবে
খালেদ মুহিউদ্দীন প্রশ্ন করেন, বিএনপি কি আশা করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে বা ইউরোপের কারো কথায় একটি অন্য নির্বাচন দিতে বাধ্য করতে পারবেছবি: DW

ডয়চে ভেলে খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায় টক শো এর এই পর্বের আলোচনার বিষয় ছিল 'জাতীয় নির্বাচন ও অসহযোগ'৷ অনুষ্ঠানটিতে অতিথি হিসেবে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান৷

খালেদ মুহিউদ্দীন প্রশ্ন করেন, বিএনপি কি আশা করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে বা ইউরোপের কারো কথায় একটি অন্য নির্বাচন দিতে বাধ্য করতে পারবে? বিদেশিদের উপর কি বিএনপি বেশি নির্ভর করেছিল? এ প্রশ্নের উত্তরে মঈন খান বলেন, ‘‘২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্র যখন এক ব্যক্তি বা ব়্যাবের উপরে স্যাংশন দিয়েছিলো। তখন কি বিএনপিকে জিজ্ঞাসা করে দিয়েছিলো?‘‘ বিএনপি সে সিদ্ধান্তে খুশি হয়েছিল কি, ফের জানতে চান ডয়চে ভেলের বাংলা বিভাগের প্রধান। মঈন খান বলেন, ‘‘এটা ভুল ধারণা। বিএনপির এখানে খুশি হওয়ার বা ব্যাজার হওয়ার কারণ নেই। বিএনপি সন্তুষ্ট বা অসন্তুষ্টের কিছু নেই ।‘‘

ড. মঈন খান বলেন, ‘‘আজকে বাংলাদেশে বিএনপি বা ৫৯টি রাজনৈতিক দল নির্বাচন বর্জন করেছে। সারা বিশ্বের যারা ইন্ডিপেন্ডেন্ট অবজারভার, যারা জার্নালিস্ট মানবাধিকার কর্মী, যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন, অস্ট্রেলিয়া, ক্যানাডা, পশ্চিমা গণতান্ত্রিক দেশ, জাতিসংঘের বাইরে গিয়েও যারা মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, এ ধরনের সংস্থাগুলো প্রত্যএকে বলেছে বাংলাদেশের এই সরকার একদলীয় পদ্ধতিতে গণতন্ত্র হরণ করেছে।‘‘

তার দাবি, এই অভিযোগ শুধু বিএনপি করছে না, এই অভিযোগ সারা বিশ্ব থেকে আসছে।

বর্জনের আন্দোলন প্রসঙ্গে ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, ''আমরা নির্বাচন বর্জন করিনি। তামাশার নির্বাচন বর্জন করেছি। নির্বাচনের নামে প্রহসন করছে সরকার। এভাগে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া স্থিতিশীল হতে পারে না। বাংলাদেশের স্বাধীনতা এসেছে রক্তপাতের মাধ্যমে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র মৃত।''

খালেদ জানতে চান,বিএনপি কি ঠিক করে রেখেছিলো নির্বাচনে অংশ নেবে না। দায় কি তাদেরও নয়? ড. আব্দুল মঈন খানের কথায়, শর্তহীন সংলাপের প্রস্তাবে বিএনপিই রাজি হয়েছে, আওয়ামী লীগ রাজি হয়নি।

তার বক্তব্য, দিন এমন ভাবে বদলে গেছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজনীয়তা ১০০ গুণ বেড়ে গিয়েছে।

খালেদ জানতে চান, তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে নেতিবাচক হিসাবে দেখানোর জন্য কি বিএনপি দায়ী কিনা। জবাবে ড. মঈন খান বলেন, ''মাথা ব্যথা হলে মাথা কাটা যাবে না। বিএনপি ভুল করলে সেটা তারা বুঝেছে। তাই বলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজনীয়তা নেই, তেমন না।''

খালেদ ২৮ অক্টোবরের প্রসঙ্গ, ২০১৫ সালে গাড়ি পোড়ানোর প্রসঙ্গের কথা তুললে বিএনপি নেতা বলেন, ''অভিযোগ তো থাকতেই পারে। আওয়ামী লীগের মতো বাকশালী নই। বাংলাদেশে তৃণমূলস্তরে গিয়ে ২৮ অক্টোবরের কথা জিজ্ঞাসা করুন। এটা বিএনপি করেছে নাকি বিএনপির আন্দোলন স্তব্ধ করে দিতে সরকার সংগঠিত করেছে তা নিয়ে সন্দেহ আছে।'' তার অভিযোগ, সরকারই দেশে বিদেশে বিএনপিকে সন্ত্রাসী দলহিসাবে দেখাতে পরিকল্পিতভাবে এসব করছে।

বিদেশিদের থেকে বিএনপি কী আশা করে, জানতে চান খালেদ মুহিউদ্দীন। মঈন খানের দাবি, তাদের কাছ থেকে সরকারই আশা করে, বিএনপি নয়। বাইরের শক্তি এসে আওয়ামী লীগকে বহাল রাখ, সরকার সেটা চায়।

আরকেসি/এডিকে