যুক্তরাষ্ট্রের মতো ফিঙ্গারপ্রিন্ট পরীক্ষা চালু করছে ইইউ
২৬ অক্টোবর ২০১৭মার্কিন নাগরিক নন এমন যাঁরা অ্যামেরিকা সফর করেছেন, তাঁরা এই ব্যবস্থার সঙ্গে পরিচিত৷ যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছানোর পরই বহিরাগতদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেয়া হয় এবং একটি ছবি তুলে রাখা হয়৷ এখন ইউরোপীয় ইউনিয়নও এই জোটের সদস্য নয় এমন দেশ এবং মার্কিন নাগরিকদের ক্ষেত্রে এই পন্থা চালুর উদ্যোগ নিয়েছে৷
নতুন এই ‘এন্ট্রি-এক্সিট সিস্টেম (ইইএস)' নিয়ে ইইউ সংসদে বুধবার ভোটাভুটির আয়োজন করা হয়৷ এতে এই পন্থার পক্ষেই ভোট দিয়েছেন আইনপ্রণেতারা৷ নতুন এই ব্যবস্থায় সংগৃহীত বায়োমেট্রিক তথ্যের পাশাপাশি ভ্রমণকারীর অন্যান্য তথ্যও চার বছর মেয়াদে জমা করে রাখা হবে৷ আর এসব তথ্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, সীমান্ত নিয়ন্ত্রক ও ভিসা প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ দেখতে পারবে৷ তবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং শেনজেনভুক্ত দেশের নাগরিকদের ক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়া প্রযোজ্য হবে না৷
ইইএস-এর সমর্থকরা মনে করেন, এই ব্যবস্থার কারণে অভিবাসন প্রক্রিয়া আরো ভালোভাবে কাজ করবে এবং কেউ ভিসার মেয়াদের বাইরে অতিরিক্ত সময় ইইউতে অবস্থান করছেন কিনা তা সহজে জানা যাবে৷ ইউরোপিয়ান পিপল'স পার্টি (ইপিপি)-র জার্মান সদস্য মনিকা হ্যোলমায়ার এই বিষয়ে জানান যে, ইইএস ব্যবহার করে ইইউতে কে আছে এবং কার বেরিয়ে যেতে হবে, তা নির্ধারণ করা আরো সহজ হবে৷
ইউরোপিয়ান কমিশনের মাইগ্রেশন বিষয়ক কমিশনার দিমিত্রিস আভ্রামোপাউলোস মনে করেন, ঠিক কে ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রবেশ করছে, তা জানার দরকার আছে৷
সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২০ সাল নাগাদ ইপিপি প্রয়োগ করা শুরু করা সম্ভব হবে৷ তার আগে ইইউ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রধানদের অনুমতির প্রয়োজেন হবে৷ এই প্রকল্পের পেছনে প্রাথমিক খরচ ধরা হয়েছে ৪৮০ মিলিয়ন ইউরো৷ তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই খরচ দ্বিগুণ হয়ে যেতে পারে৷ আর গুটিকয়েক সন্দেহভাজনের জন্য সব মানুষের তথ্য এভাবে সংরক্ষণ অর্থহীন বলেও মনে করছেন ইইউ'র কয়েকজন আইনপ্রণেতা৷
এআই/এসিবি (ডিপিএ, এপি)