ম্যার্কেলের কিছু অন্যরকম ছবি
২০০৫ সালের ২২ নভেম্বর থেকে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ জার্মানদের কাছে এখনও তিনি বেশ জনপ্রিয়৷ ছবিঘরে থাকছে তাঁর এমন কিছু ছবি, যা দেখতে হয়ত আপনার ভালই লাগবে৷
চেনা যায়?
হ্যাঁ, ইনিই আজকের ক্ষমতাধর জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ ১৯৫৪ সালের ১৭ই জুলাই জার্মানির বন্দর নগরী হামবুর্গে জন্মগ্রহণ করেন তিনি৷ সে সময় আঙ্গেলার পুরো নাম ছিল - আঙ্গেলা ডোরোটেয়া কাসনার৷ বাবা হর্স্ট কাসনার ছিলেন একজন লুথেরান যাজক৷ আর মা হ্যারলিন্ড কাসনার ইংরেজি ও ল্যাটিন ভাষার শিক্ষিকা৷ তিন ভাইবোনের মধ্যে আঙ্গেলাই ছিলেন সবচেয়ে বড়৷
বন্ধুদের সঙ্গে
দশম শ্রেণিতে পড়ার সময় বন্ধুদের সঙ্গে ম্যার্কেল৷ এতজনের মাঝ থেকে চ্যান্সেলরকে খুঁজে বের করার দায়িত্ব কিন্তু পাঠক আপনার৷
ক্যাম্পিং
এইচএসসি পরীক্ষা শেষ হওয়ার আনন্দে আমরা অনেক কিছুই করেছি৷ ম্যার্কেলও এর বাইরে ছিলেন না৷ তাই ‘আবিটুয়র’ শেষের পর বন্ধুদের সঙ্গে ক্যাম্পিংয়ে বেরিয়ে পড়েছিলেন তিনি৷ ছবিটি ১৯৭৩ সালে তোলা৷
ছুটিতে ঘোরাঘুরি
জার্মান চ্যান্সেলর হলেও সেটিতো একটি চাকরি, তাই না? তাইতো ছুটি পেলেই স্বামী রসায়নের অধ্যাপক ইওয়াখিম সাউয়ারকে নিয়ে ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন ম্যার্কেল৷ ছবিতে ইটালির ইসকিয়া দ্বীপে ম্যার্কেলকে ‘থার্মাল বাথ’ করতে দেখা যাচ্ছে৷
এরপর হাঁটাহাঁটি
থার্মাল বাথ শেষে স্বামীর সঙ্গে হেঁটে বেড়াচ্ছেন ম্যার্কেল৷
নিজের বাসাতেই থাকছেন ম্যার্কেল
বার্লিনের মাঝে একটি ‘মিউজিয়াম আইল্যান্ড’ আছে৷ সেখানেই একটি জাদুঘরের কাছে এই ভবনটির অবস্থান৷ চ্যান্সেলর হওয়ার আগে যেমন, তেমনি এখনও স্বামীকে নিয়ে সেখানেই থাকছেন ম্যার্কেল৷ ছবিতেই দেখতে পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ তাঁর বাসার সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে৷ নিরাপত্তার জন্য শুধু দুজন পুলিশ সবসময় এই ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে থাকে৷ বাসার গেটে নেমপ্লেটে কিন্তু ম্যার্কেলের নাম নেই, আছে স্বামী অধ্যাপক সাউয়ারের নাম৷
‘সামার স্কুল’
ভৌত রসায়নে পিএইচডি ডিগ্রি রয়েছে ম্যার্কেলের৷ ১৯৮৯ সালে শিক্ষার্থী অবস্থায় পোল্যান্ডে একটি সামার স্কুলে গিয়ে ছবিটি তোলা হয়৷ ছবির মাঝখানের মানুষটি আজকের চ্যান্সেলর ম্যার্কেলের স্বামী অধ্যাপক সাউয়ার, আর ম্যার্কেলকে তো নিশ্চয় চেনা যাচ্ছে!
কোনজন ম্যার্কেল?
বলুনতো ছবিতে কোনটা ম্যার্কেল? হ্যাঁ ঠিক ধরেছেন, ডান থেকে তৃতীয়জন৷ ১৯৮২ সালের এই ছবিতে দুজন অধ্যাপক সহ অন্যান্যদের দেখা যাচ্ছে৷
লেমুর সঙ্গে দেখা
মেকলেনবুর্গ-ফোয়রপোমার্ন রাজ্যের মার্লো পাখি পার্কে গিয়ে লেমুরের সঙ্গে দেখা হয় ম্যার্কেলের৷ তাইতো এই দোস্তি৷
‘টোস্ট’
২০১৩ সালে জার্মানি সফরের সময় মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ম্যার্কেল৷
এত বন্ধুত্ব!
২০১৩ সালের এই ছবি দেখে কে বলবে রাশিয়া ও জার্মানির সম্পর্কের মধ্যে এখন যোজন যোজন দূরত্ব? রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে জি২০ দেশগুলোর শীর্ষ নেতাদের এক অনুষ্ঠানে তোলো ছবি এটি৷
অপেরা হাউসের উদ্বোধনীতে
নরওয়ের অসলোর অপেরা হাউস পর্যটকদের কাছে এখন অন্যতম আকর্ষণীয় স্থাপনা৷ ২০০৮ সালে এই অপেরা হাউসের উদ্বোধনীতে উপস্থিত ছিলেন চ্যান্সেলর ম্যার্কেল৷ ছবিতে তাঁকে নরওয়ের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা যাচ্ছে৷
কোথায় যাচ্ছেন তিনি!
২০০৬ সালে জার্মান নৌবাহিনীর একটি সাবমেরিনে প্রবেশ করছেন চ্যান্সেলর ম্যার্কেল৷
ফুটবলপ্রিয় চ্যান্সেলর
যত ব্যস্ততাই থাকুক ফুটবলের খবর নিয়মিতই রাখেন ম্যার্কেল৷ জাতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলাগুলোতেও উপস্থিত থাকতে চেষ্টা করেন৷ ছবিতে ২০১৪ সালের ব্রাজিল বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর খেলোয়াড়দের সঙ্গে ম্যার্কেলকে দেখা যাচ্ছে৷