জি-সেভেন সম্মেলন
২৭ মে ২০১৬শিল্পোন্নত দেশগুলির গোষ্ঠী জি-সেভেন শীর্ষ সম্মেলনে কোনো সম্মিলিত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় না, বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার পর এক যৌথ ঘোষণাপত্র প্রকাশ করা হয়৷ জাপানেও তার কোনো ব্যতিক্রম ঘটেনি৷ বিশ্ব অর্থনীতির গতি-প্রকৃতি থেকে শুরু করে চলমান নানা সংকট সম্পর্কে অবস্থান নিয়েছেন শীর্ষ নেতারা৷
চলমান শরণার্থী সংকটকে এক আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে এই সম্মেলনে৷ ইউক্রেনে রাশিয়ার ভূমিকার আবার কড়া সমালোচনা করেছেন জি-সেভেন নেতারা৷ সিরিয়া ও ইরাকের পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তাঁরা৷ সরাসরি নাম উল্লেখ না করেও দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের আগ্রাসী মনোভাবের সমালোচনা করেছেন নেতারা৷ সন্ত্রাসবাদ দমনে, সন্ত্রাসবাদীদের অর্থায়ন বন্ধ করতে এক কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়েছে৷
এর মধ্যে বিশ্ব অর্থনীতির পরিস্থিতি বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে৷ প্রবৃদ্ধির হার বাড়াতে শীর্ষ নেতারা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের অঙ্গীকার করেছেন৷ তাঁদের মতে, এক্ষেত্রে সম্ভাবনার পুরোপুরি সদ্ব্যবহার করা হচ্ছে না৷
আগামী মাসে গণভোটের পর ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছেড়ে চলে গেলে বিশ্ব অর্থনীতির উপর বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন শীর্ষ নেতারা৷
শুধু গুরুগম্ভীর আলোচনা নয়, তার ফাঁকে জি-সেভেন নেতারা ব্যক্তিগত স্তরেও উষ্ণতা দেখিয়েছেন৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেন, উপস্থিত নেতারা জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলকে বড়ই ভালোবাসেন৷
জি-সেভেন মূল সম্মেলনের পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশগুলির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে এক ‘আউটরিচ মিটিং' অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তাতে অংশ নিয়েছেন৷
এসবি/এসিবি (ডিপিএ, রয়টার্স, এএফপি)