মেয়র আর অ্যালিগেটরের বিয়ে
মেক্সিকোর এক শহরের মেয়রকে প্রতিবছর খুব ঘটা করে অ্যালিগেটরের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে হয়৷ মানবীর মতোই সুন্দর করে সাজানো এক ধরনের কুমিরকে শত বছরের রীতি অনুযায়ী কোলে তুলে, চুমু খেয়ে স্ত্রী রূপে বরণ করতে হয়৷ দেখুন ছবিঘরে...
কনের সাজে অ্যালিগেটর
ইনি মেয়রের স্ত্রী! দেখুন কী সুন্দর করে সাজানো হয়েছে তাকে৷ সাজানো দিয়ে আনুষ্ঠানিকতার শুরু৷ শেষ পর্যন্ত দেখলে আপনার মনে হবে, বিশ্বের কত নারীরই তো এমন সুন্দর পোশাক পরে বিয়ের পিঁড়িতে বসার সৌভাগ্য হয় না, মেয়র পাত্রই বা জোটে কজনের!
এবারের পাত্র সোসা
মেক্সিকোর ওক্সাকা রাজ্যের সান পেদ্রো হুয়ামেলুলা শহরে অ্যালিগেটরকে এভাবে সাজিয়ে মেয়র পাত্রের হাতে তুলে দেয়া হয় একশ বছরেরও বেশি সময় ধরে৷ সেই ঐতিহ্য মেনেই এবার কোলে তুলে, চুমু খেয়ে ‘অমানুষ’ স্ত্রী-কে বরণ করে নিয়েছেন বর্তমান মেয়র ভিক্টর হুগো সোসা৷
মানুষ থাকতে অ্যালিগেটর কেন?
মেক্সিকোর ওক্সাকা রাজ্যের আদিবাসী অধ্যুষিত সান পেদ্রো হুয়ামেলুলা শহরের চোন্তাল ও হুয়াভে আদিবাসীরা মনে করেন, তাদের শহরপিতা অ্যালিগেটরকে বিয়ে করলে সমৃদ্ধি আসবে৷ এই বিশ্বাস থেকেই প্রতি বছর অ্যালিগেটরের সঙ্গে মেয়রের বিয়ে দেন তারা৷
প্রকৃতির কাছে প্রার্থনা
বর সোসার নেতৃত্বে অ্যালিগেটর কনেকে নিয়ে শহর প্রদক্ষিণ করা হচ্ছে৷ এমন আনুষ্ঠানিকতার কারণ জানাতে গিয়ে সোসা বলেন, ‘‘আমরা প্রকৃতির কাছে পর্যাপ্ত বৃষ্টি, খাদ্য এবং নদীতে যথেষ্ট মাছ চাওয়ার জন্য এই অনুষ্ঠান করি৷’’
গডমাদারের আনন্দ
মেক্সিকোর দক্ষিণাঞ্চলের শহর সান পেদ্রো হুয়ামেলুলার আর্থিকভাবে অসচ্ছল মানুষদের কাছে অ্যালিগেটর-মেয়র বিয়ে মানেই দারুণ এক আনন্দোৎসব৷ ছবির এই নারীর নাম এলিয়া এডিথ আগুইলার৷ বিয়ের পুরো আয়োজনটি করেন বলে সবাই ‘গডমাদার’ মানেন তাকে৷ বিয়ের আয়োজন সম্পর্কে নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে এলিয়া বলেন,‘‘এই আয়োজন আমাকে খুব আনন্দ দেয়৷ এটি আমাদের শেকড়ে কথা মনে করিয়ে দিয়ে আমাকে গর্বিত করে৷’’