মেসি যা পারেননি, পেরেছেন রোনাল্ডো
ফ্রান্স এবং পর্তুগালের মধ্যকার ইউরো ফাইনাল ছিল উত্তেজনায় ঠাসা৷ দু’দলের মহুর্মুহু আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ উপভোগ করেছেন বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ৷ চলুন ক্যামেরার চোখে দেখে নেই খেলার কিছু উল্লেখযোগ্য মুহূর্ত৷
আক্রান্ত রোনাল্ডো
পর্তুগাল দলের মধ্যমনি ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো৷ বিশ্বের অন্যতম সেরা এই ফুটবলারকে তাই শুরু থেকেই দমিয়ে রাখার চেষ্টা করেছে ফরাসিরা৷ খেলার ছয় মিনিটের মাথায় দিমিত্রি পাইয়ের ধাক্কায় মাঠে পড়ে যান রোনাল্ডো৷ খেলার ১৬ মিনিটে আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি৷ ফিরে এসে খেলার ২৫ মিনিটের মাথায় বুঝতে পারেন মাঠে থাকা আর সম্ভব নয় তাঁর৷ চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি৷
অল্পের জন্য মিস
জয়টা ফরাসিদের হতে পারতো যদি না খেলার ৬৬ মিনিটে সেদলের অন্যতম স্ট্রাইকার অঁতোয়ান গ্রিসমানের দেয়া হেডটি গোলপোস্টের সামান্য উপর দিয়ে চলে না যেত৷ আগের ম্যাচে জার্মানির বিরুদ্ধে দু’গোল করেন এই ফুটবলার৷
বাঁচালেন অধিনায়ক
ফরাসি অধিনায়ক উগো লোরিস নানির একটি গোল করার চেষ্টা রুখে দেন৷ সেসময় রিকোর্ডো কোয়ারেসমা আবারো শট নিলেও গোলরক্ষক সেটি ধরে ফেলেন৷
ফরাসিদের দুর্ভাগ্য
খেলার ইনজুরি টাইমে ফরাসি দলের অন্দ্রে-পিয়ের জিনিয়াক একটি হালকা শট পর্তুগিজদের গোলবারের ভেতরের দিকে লেগে ফিরে আসে৷ ফিরত বলটার কাছেই ছিলেন গ্রিসমান৷ কিন্তু ঘটনার আকস্মিকতায় তিনি বলে পা লাগাতে পারেননি৷
গোল
খেলার বাড়তি সময়ের ১০৯ মিনিটের মাথায় কাঙ্খিত গোলটি পায় পর্তুগাল৷ কয়েকজন খেলোয়াড়কে কাটিয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে হঠাৎ জোরালো শট নেন এডার৷ ডানদিকে ঝাপিয়ে পড়েও সেবল রুখতে পারেননি ফরাসি গোলরক্ষক৷
রোনাল্ডোর উচ্ছ্বাস
ইনজুরি নিয়ে মাঠ ছাড়তে হলেও কিছুক্ষণ পরেই সাইড লাইনে হাজির হন রোনাল্ডো৷ শেষের দিকে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই কোচের পাশে দাঁড়িয়ে খেলোয়াড়দের নানা পরামর্শ দিয়েছেন, যা নজর কেড়েছে অনেকের৷ আর্জেন্টিনার মেসি যা পারেননি তা করে দেখিয়েছেন পর্তুগালের রোনাল্ডো৷ নিজের দেশের হয়ে দলে থাকা অবস্থাতেই তাঁর দেশ জিতেছে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় শিরোপা৷
উচ্ছ্বাস সর্বত্র
নিজের দেশের মাটিতে ফাইনালে হারায় স্বভাবতই হতাশ ফরাসিরা৷ তবে প্রথমবার বড় কোনো উৎসব জিতে আনন্দে মাতোয়ারা পর্তুগিজরা৷ মাঠে, মাঠের বাইরে তাদের উৎসব করতে দেয়া গেছে এভাবেই৷