1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভেন্ডিং মেশিনে গাঁজা

২০ মে ২০১৪

দেখতে আর দশটা ভেন্ডিং মেশিনের মতোই, তবে ভ্যাঙ্কুভারে নতুন বসানো এসব মেশিনে পয়সা ফেললে চকলেট, চিপসের বদলে বেরিয়ে আসে গাঁজার পোটলা৷

https://p.dw.com/p/1C2cf
Frau mit Joint
প্রতীকী ছবিছবি: AP

ক্যানাডার পশ্চিমাঞ্চলীয় এই শহরের অলিগলিতে সব সময়ই গাঁজা বিক্রি হয়েছে, তবে তা নিষিদ্ধ মাদক হিসাবে৷ অন্য সব শহরের মতোই এই নিষিদ্ধ জগতের নিয়ন্ত্রণ থাকতো কোনো না কোনো ‘গ্যাং' এর হাতে৷ সেই কারবারের জমাখরচের হিসাবও কখনো অর্থনীতির খাতায় উঠতো না৷

চিকিৎসার জন্য গাঁজার ব্যবহার ‘বৈধতা' পাওয়ার পর এই ‘অর্থনীতি' দিনকে দিন চাঙ্গা হচ্ছে৷ ভ্যাঙ্কুভার শহরে গত কিছুদিনে প্রায় চারশ ভেন্ডিং মেশিন বসানো হয়েছে, যেগুলোকে বলা হচ্ছে ‘মেডিকেল মারিজুয়ানা ডিসপেনসারি'৷

এসব মেশিনে চার ক্যানাডিয়ান ডলার ফেললে বেরিয়ে আসছে একটি গাঁজাভর্তি প্লাস্টিক বল, যার নাম দেয়া হয়েছে ‘কটন ক্যান্ডি' বা হাওয়াই মিঠাই৷ অবশ্য আরেকটু ভাল মানের ‘পিঙ্ক কুশ' চাইলে দিতে হবে ছয় ডলারের কয়েন৷

ভ্যাঙ্কুভারের বাসিন্দা চুক ভ্যারাবিয়ফ সরকারের অনুমোদন নিয়ে ‘ব্রিটিশ কলাম্বিয়া পেইন সোসাইটি' নামে এরকম একটি ‘পট স্টোর' চালাচ্ছেন৷ তিনি জানান, রেফ্রিজারেটর আকৃতির এক একটি মেশিনে বিভিন্ন দামের এবং বিভিন্ন ধরনের গাঁজা পাওয়া যায়৷ স্বাস্থ্যসম্মত ও মান ঠিক রাখতে সেগুলো রাখা থাকে মুখবন্ধ প্লাস্টিকের ব্যাগে৷

এ সোসাইটি থেকে গাঁজা কিনতে হলে বয়স হতে হবে ১৯ বছর বা তার বেশি৷ সেই সঙ্গে দেখাতে হবে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র৷ কেনার পর সঙ্গে নিয়ে বাড়ি যাওয়া যাবে, আবার চাইলে সেখানে বসেও সেবন করা যাবে৷

সোসাইটির পরিচালক ভ্যারাবিয়ফ জানান, শ্বাসকষ্ট আছে বলে তিনি নিজে কখনো গাঁজা সেবন করেন না৷ তবে ব্যথার উপশম হয় বলে চিকিৎসার জন্য গাঁজার ব্যবহার তিনি সমর্থন করেন৷

ক্যানাডা সরকার ১৯৯৯ সালে চিকিৎসার জন্য গাঁজার ব্যবহারকে বৈধতা দিলেও এর উৎপাদন ও সরবরাহ প্রক্রিয়া নিয়ে নানা বিতর্ক ও আইনি লড়াই চলছে৷ আদালতের সাম্প্রতিক এক রায়ের পর ভ্যাঙ্কুভারে ‘মেডিকেল মারিজুয়ানা ডিসপেনসারি' চালু হয়েছে, যদিও ক্যানাডার অন্যান্য শহর এতোটা ‘উদার' নয়৷

আগের আইনে ক্যানাডায় মোট ৩০ হাজার বাড়িতে গাঁজা চাষের অনুমতি ছিল৷ তবে সরকার ১ এপ্রিল থেকে যে নতুন নিয়ম চালু করেছে তাতে এর উৎপাদন হবে অনেক বেশি বাণিজ্যিক, বিপণনের নিয়ন্ত্রণ থাকবে অল্প সংখ্যক ব্যবসায়ীর হাতে৷

আইন অনুযায়ী, এ নিয়মের বাইরে গিয়ে গাঁজা উৎপাদন বা বিক্রি করলে তা হবে শাস্তিযোগ্য অপরাধ৷ তবে ভ্যাঙ্কুভার পুলিশ হেরোইন, কোকেনের অবৈধ কারবার বন্ধে যতটা তৎপর, গাঁজার ক্ষেত্রে ততটা নয়৷

গাঁজাকে পুরোপুরি বৈধ করে দেয়ার জন্য ক্যানাডীয় পার্লামেন্টে দুই দফা বিল তোলারও উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল, যদিও তাতে আইনপ্রণেতাদের সাড়া পাওয়া যায়নি৷

জেকে/জেডএইচ (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য