ভিয়েতনামের ধূপকাঠি এখন সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল
কুয়াং ফু কাউ গ্রামে ভিড় করছেন সারা বিশ্বের পর্যটক৷ কারণ, এই গ্রামের অভিনব রঙবেরঙের ধূপকাঠি৷
অবাক করা দৃশ্য
ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ের কিছুটা দূরের এই কুয়াং ফু কাউকে গোটা বিশ্ব ডাকে ‘ধূপের গ্রাম’ নামে৷ প্রতি সকালে, হাজারে হাজারে ধূপকাঠি সাজানো হয় রোদে শুকোনোর জন্য৷ তিন প্রজন্ম ধরে দাং থি হোয়া পরিবার ধূপকাঠিতে গাঢ় লাল বা বেগুনি রঙ লাগাচ্ছেন৷ ভিয়েতনামের নববর্ষ উদযাপন, টেট উৎসবের জন্যেই এত প্রস্তুতি৷
রঙিন যত ছবি
প্রথাগত রং ছাড়াও এই দাং থি হোয়া পরিবার বর্তমানে সোশাল মিডিয়ার চাহিদামতো ধূপকাঠি হলুদ, সবুজ ও নীল রঙেও সাজান৷ এই সব নানা রঙের ধূপকাঠির সাথে ছবি তোলা হিড়িক চোখে পড়ার মতো৷
সেলফির জন্য যেমন...
৪৫ বছর বয়সি হোয়া বলেন, ‘‘আমাদের গ্রাম পর্যটকদের জন্য হটস্পট৷’’ সেলফি তুলতে চাওয়া পর্যটকদের কল্যাণে গ্রামবাসীদের আয় ভালোই হয়৷ ৫০ হাজার দং (২২৫ বাংলাদেশি টাকা) দামে পর্যটকেরা যত খুশি ছবি তুলথে পারবেন৷ ২০টা ধূপকাঠির দাম হয় মাত্র ৬০ টাকা থেকে (৬০ বাংলাদেশি টাকা)৷
রমরমা ব্যবসা
বাঁশের কঞ্চি কেটে তারপর কাঠিগুলো মেশিনের সাহায্যে রঙে চোবানো হয়৷ তারপর ফুলের মতো ছড়ানো কিন্তু একসাথে আঁটিতে বাঁধা হয় ধূপকাঠিগুলোকে, শুকানোর জন্য৷ এমন ধূপকাঠি শুধু মন্দিরে বা ধর্মীয় স্থানে নয়, দেখা যায় বিশ্বের নানা প্রান্তের যোগব্যায়ামের কেন্দ্রেও৷
ভিয়েতনামের ঐতিহ্য
ভিয়েতনামের নববর্ষ আসন্ন, তাই ধুপকাঠির চাহিদা তুঙ্গে৷ সাধারণত, মন্দির বা বাসার ভেতর প্রার্থনার কোণে জ্বালানো হয় এই ধূপকাঠি৷ এই সব ধূপ ভিয়েতনামের মানুষ বিয়ে বা অন্যান্য আনন্দ উৎসবেও জ্বালিয়ে থাকেন৷
সেরা ছবির জন্য কসরত
পর্যটকদের ভিড়ের সময়েও কেউ না কেউ থাকে যারা পর্যটকদের সব ঘুরিয়ে দেখায়৷ বার্তাসংস্থা এএফপি কথা বলে এনগুয়েন হু লঙের সাথে, যিনি সেখানে একটি ছোট দোকানের মালিক৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি দু’-একজনকে ঠিক করি যারা পর্যটকদের সবচেয়ে সেরা ছবি তোলার জায়গা খুঁজে দেয়৷ তারা এটাও নজর রাখে যাতে ধূপ শুকোনোয় কোনো ব্যাঘাত না ঘটে৷’’
পাখির চোখে ভিয়েতনাম
ভিয়েতনামের পতাকা ও মানচিত্রের আকারে সাজানো শয়ে শয়ে ধূপকাঠি একটি গ্রামের মন্দিরের সামনে৷ দাং থি হোয়া বলেন, ‘‘আমার পরিবারের এই ঐতিহ্যবাহী শিল্পের জন্য আমি গর্বিত৷ আমি আরো খুশি যে আমাদের গ্রাম এত বিখ্যাত হয়েছে৷ আমার আয়ও বাড়ছে৷’’ পর্যটকরাও এই গ্রামের শিল্প দেখে অভিভূত৷