1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্লগার অনন্ত বিজয়ের চার হত্যাকারীর ফাঁসি

৩০ মার্চ ২০২২

২০১৫ সালে সিলেটের বিজ্ঞান লেখক ও ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশকে হত্যার দায়ে চারজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত৷ বিতর্কিত ব্লগার শফিউর রহমান ফারাবী  খালাস পেয়েছেন৷

https://p.dw.com/p/49Dwl
ছবি: picture-alliance/dpa

ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের খবর অনুযায়ী, বুধবার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন সিলেটের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক নুরুল  আমীন বিপ্লব৷

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার ২৫ বছর বয়সি আবুল হোসেন ২৭ বছর বয়সি খালপাড় তালবাড়ির ফয়সাল আহমদ , সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের বিরেন্দ্রনগরের (বাগলী) ২৫ বছর বয়সি মামুনুর রশীদ  এবং একই বয়সি কানাইঘাটের ফালজুর গ্রামের আবুল খায়ের রশীদ আহমদ৷

আবুল খায়ের রশীদ আহমদ এবং ফারাবী আদালতে রায় ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন৷ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর তিন আসামি পলাতক রয়েছেন বলে জানান  ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ আইনজীবী (পিপি) মুমিনুর রহমান টিটু ৷ বিচারক গত ১৪ মার্চ মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বুধবার রায়ের তারিখ নির্ধারণ করেন৷

২০১৫ সালের ১২ মে সিলেট নগরের সুবিদবাজারে নূরানী আবাসিক এলাকায় বাসার সামনে খুন হন ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ৷ পেশায় ব্যাংকার অনন্ত বিজ্ঞান নিয়ে লেখালেখি ছাড়াও ‘যুক্তি' নামে বিজ্ঞানবিষয়ক একটি পত্রিকা সম্পাদনা করতেন৷ স্থানীয় গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠকও ছিলেন তিনি৷

হত্যার পরদিন ১৩ মে সিলেট বিমানবন্দর থানায় অনন্তের বড় ভাই রত্নেশ্বর দাশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা চারজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন৷ মামলায় অভিযোগ, বিজ্ঞান বিষয়ে লেখালেখির কারণে অনন্তকে উগ্র ধর্মান্ধ গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে৷

মামলাটি শুরুতে পুলিশের হাতে থাকলেও পরে তা অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) স্থানান্তর করা হয়৷ মামলা হাতে নিয়ে তদন্তে  নামেন সিআইডির পরিদর্শক আরমান আলী৷ তদন্ত সাপেক্ষে অনন্ত বিজয় হত্যা মামলায় ছয়জনকে অভিযুক্ত করে ২০১৭ সালের ৯ মে  আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা ৷

আসামিরা সবাই সিলেটের বাসিন্দা ৷ খালাস পাওয়া ৩০ বছর বয়সি শফিউর রহমান ফারাবী বিজ্ঞান লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা মামলার রায়ে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি৷

আসামিদের মধ্যে কানাইঘাটের পূর্ব ফালজুর গ্রামের মান্নান ইয়াইয়া ওরফে মান্নান রাহী ওরফে এ বি মান্নান ইয়াইয়া ওরফে ইবনে মঈন (২৪) আদালতে অনন্ত হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন ৷ তবে ২০১৭ সালের ২ নভেম্বর কারাগারে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মান্নান রাহী মারা যান৷ জীবিত পাঁচ আসামির মধ্যে কারাগারে ছিলেন আবুল খায়ের রশীদ আহমদ ও  ফারাবী৷

বাকী তিন আসামি আবুল হোসেন, ফয়সাল আহমদ ও মামুনুর রশীদ পলাতক৷ মামলাটিতে ২৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৪ জনের সাক্ষী নিয়েছে আদালত৷

এনএস/কেএম (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান