বুন্ডেসলিগার শীর্ষ ১০ গোলদাতা

ম্যুলারের রেকর্ড অপ্রতিরোধ্য৷ ১৯৬৫ থেকে ১৯৭৯ পর্যন্ত বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে খেলে দলকে শিরোপা জিতিয়েছেন চার বার৷ সাতবার জিতেছেন গোল্ডেন বুট৷ পাঁচ মৌসুমে যতগুলো ম্যাচ খেলেছেন তার চেয়ে গোল করেছেন বেশি৷ ১৯৭১-৭২ মৌসুমে ৪০টি গোল করেছিলেন, যে রেকর্ড আজ পর্যন্ত কেউ ভাঙতে পারেনি৷

ম্যুলারের চেয়ে ১০০টিরও বেশি ম্যাচ খেলেছেন ফিশার৷ কিন্তু ৯৭ টি গোল কম করেছেন৷ শালকের হয়ে সবচেয়ে বেশি ১৮২টি গোল করেছেন৷ ১৯৬৮ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত ২০ বছর বুন্ডেসলিগায় খেলেছেন৷ খেলেছেন মিউনিখ, কোলন ও বোখুমের হয়েও৷

লেভান্ডোসকি দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিলো রেয়াল মাদ্রিদে খেলার, যা পূরণ হয়নি৷ কিন্তু বুন্ডেসলিগায় একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছেন তিনি৷ বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের হয়ে চার মৌসুমে ৭৪টা গোল করেছেন, এরপর বায়ার্ন মিউনিখে এসে এখন পর্যন্ত ১৫৩টি গোল করেছেন৷ ৩১ বছর বয়সি এই ফুটবলারের গোল করা এখনো শেষ হয়নি৷ (১৭ মে ২০২০ পর্যন্ত)

কোচ হিসেবে সাফল্য পাওয়ার আগে তিনি ছিলেন সর্বকালের সেরা জার্মান স্ট্রাইকার৷ বুন্ডেসলিগায় খেলেছেন ১৪ বছর, বরুশিয়া ম্যুনশেনগ্লাদবাখ এবং হানোফারের হয়ে৷ গ্লাডবাখের সবসময়ের সেরা স্কোরার তিনি (১৯৫টা)৷

১৯৬৭ থেকে ১৯৯০ সালের মধ্যে এসেন, ডর্টমুন্ড, ন্যুরেনব্যর্গ এবং ব্রেমেনের হয়ে বুন্ডেসলিগায় খেলেছেন৷ ডর্টুমুন্ডের সবসময়ের সেরা গোলদাতা তিনি (১৩৫টি গোল)৷ ২০১৯ সালের মে মাসে ৬৯ বছর বয়সে মারা যান তিনি৷

১৯৯৯ সালে পেরুর এই ফুটবলার যোগ দেন ভেরডের ব্রেমেনে, তার বয়স তখন ২০৷ অল্প সময়ের জন্য চেলসিতে খেললেও ‘পিৎসা’ বুন্ডেসলিগায় নিয়মিত খেলোয়াড় হয়ে ওঠেন৷ ২০০১ এ ব্রেমেন এবং ২০১২ তে বায়ার্নের হয়ে খেলেছিলেন৷ কোলনে এক মৌসুম খেলার পর ৪১ বছরের এই ফুটবলার ভেরদের ব্রেমেনে পঞ্চমবারের মত যোগ দেন৷ চলতি বছরই এই দলের হয়ে ক্যারিয়ার শেষ করতে চান তিনি৷ (তথ্য ২৩শে এপ্রিল ২০২০ পর্যন্ত)

ডায়নামো ড্রেসডেনের হয়ে খেলার সময়ই বিপজ্জনক গোলদাতা হিসেবে পরিচিতি পান তিনি৷ ১৯৯০ সালে লেভারকুজেনে যোগ দেন এবং ২০০৩ সালে ক্যারিয়ারের শেষ পর্যন্ত ওই দলের হয়ে সাড়ে তিনশ’ ম্যাচ খেলেছেন৷ তিনবার গোল্ডেন বুট দিতেছেন৷

বোখুম, উয়েরডিংগেন, কাইজারস্লাওটের্ন, আবার বোখুম এবং শেষে বিলেফেল্ড-স্টেফান কুনৎস কখনোও বুন্ডেসলিগায় কোন বড় দলের হয়ে খেলেননি৷ জার্মানির অনূর্ধ্ব একুশ দলের এই কোচ ১৯৮৬ সালে বোখুমের হয়ে খেলে গোল্ডেন বুট জেতেন৷

বুন্ডেসলিগায় এখনো তার একটি রেকর্ড কেউ ভাঙতে পারেনি৷১৯৭৭ সালের ১৭ আগস্ট কোলনের হয়ে ভেরডের ব্রেমের বিপক্ষে ৬টি গোল করেছিলেন, যে ম্যাচটি তারা ৭-২ গোলে জিতেছিলেন৷ ক্যারিয়ারের বেশিরভাগ সময় খেলেছেন কোলনের হয়ে৷ এছাড়া ওফেনবাখ, স্ট্যুটগার্ট এবং সারব্রুকেন এর হয়েও খেলেছেন৷ ১৯৭৭ থেকে ১৯৮৬ পর্যন্ত বুন্ডেসলিগায় ৩০৩ টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি৷

ড্যুসেলডর্ফ স্ট্রাইকার ক্লাউস আলোফসকে দলে আনতে সাড়ে ১১ লাখ ইউরো খরচ করেছিল কোলন, সেসময় বুন্ডেসলিগায় কোন খেলোয়াড়কে সাইন করানোর রেকর্ড অংক ছিলো সেটি৷ ডিটের ম্যুলারের স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন তিনি৷ ফ্রান্সে কয়েক বছর খেলার পর ভেরডের ব্রেমেনের হয়ে বুন্ডেসলিগায় খেলেছিলেন তিনি৷