বায়ার্ন ২২ বারের মতো বুন্ডেসলিগা চ্যাম্পিয়ন
৯ মে ২০১০কিন্তু ফ্যান গাল'কে হল্যান্ডের সুদূর আল্কমার থেকে মিউনিখে নিয়ে আসার কৃতিত্ব বায়ার্ন নেতৃত্বের: ফ্রানৎস বেকেনবাউয়ার, উলি হোয়েনেস এবং কার্ল-হাইঞ্জ রুমেনিগে'র মতো বিচক্ষণ ক্লাব কর্মকর্তাদের৷ কাজেই তাঁরা এখন নিজেদের পিঠ চাপড়াতেই পারেন৷ ইয়ুর্গেন ক্লিন্সমান'কে কোচ করার সেই অভিজ্ঞতা, এবং গত মরশুমের ব্যর্থতার পর এই ৫৮ বছর বয়সী ওলন্দাজ যে এ'রকম আশ্চর্য সাফল্য এনে দেবেন, তা মিউনিখে কেউ ভাবতে পারেননি৷
তার উপর আবার ফ্যান গাল'এর আমলের সূচনায় বেশ কয়েকবার হোঁচট খেতে হয়েছে বায়ার্নকে৷ নভেম্বরেও প্রশ্ন উঠেছিল যে, ফ্যান গাল'কেও অকালে বিদায় নিতে হবে কিনা - বায়ার্ন তখন পর পর দু'টি ড্র এবং একটি পরাজয়ের পর ধরাশায়ী৷ কিন্তু বায়ার্ন সেই গ্রীষ্মেই রিয়াল মাদ্রিদ থেকে আরিয়েন রবেন'কে এনেছে ২৫ মিলিয়ন ইউরো খরচ করে৷ এছাড়া আছে আরেক নবাগত, ক্রোয়েশিয়া'র স্ট্রাইকার ইভিৎসা অলিচ৷ আছে প্লে-মেকার ফ্রঙ্ক রিবেরি৷ সম্প্রতি চোখে পড়তে শুরু করেছে থমাস ম্যুলার৷
ডিসেম্বরে চ্যাম্পিয়নস লীগের খেলায় ইউভেন্টুসের বিরুদ্ধে ৪-১ গোলে জেতার পর থেকেই যেন বায়ার্ন'কে আর চেনা যায় না৷ ওদিকে বায়ার্ন'রা তাদের কোচকে চিনতে শুরু করে৷ ফ্যানরা এবং ক্লাব কর্মকর্তারা তো বটেই, সেই সঙ্গে প্লেয়াররাও বুঝতে শুরু করে, কেন ফ্যান গাল প্রতিটি খেলার পর সেই খেলার নির্মম বিশ্লেষণ করেন৷ তাঁর সমালোচনা গঠনমূলক, তিনি চান একটি দল গড়তে৷
কাজেই বায়ার্ন যখন এই শনিবার হের্থা বার্লিন'কে ৩-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নের প্লেটটি হাতে নিল, তখন শালকে তাদের পাঁচ পয়েন্ট পিছনে৷ তৃতীয় স্থানে ভের্ডার ব্রেমেন, তারা নয় পয়েন্ট পিছিয়ে৷ শালকে'র তা'তে অখুশী হবার কথা নয়, কেননা তারা একটি আশ্চর্য সীজন খেলেছে৷ ব্রেমেনের কিছু আত্মসমালোচনার প্রয়োজন হতে পারে৷ আর বায়ার্ন? সামনে ‘ত্রিমুকুট' ছাড়াও - যা কিনা সত্তরের দশকে বেকেনবাউয়ারের স্বর্ণযুগেও বায়ার্নের ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল - রয়েছে জুনে বিশ্বকাপ৷ জার্মানির জাতীয় কোচ ইওয়াখিম লোয়েভ বায়ার্ন থেকে সাতজন খেলোয়াড় নিচ্ছেন৷ এর চাইতে বড় স্বীকৃতি আর কি হতে পারে?
প্রতিবেদক: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দোপাধ্যায়