নেপালে বাল্যবিবাহ কমছে না
৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬নেপালে ১৯৬৩ সাল থেকেই বাল্যবিবাহ আইনত দণ্ডনীয়৷ কিন্তু আইন করে গত ৫৩ বছরে বাল্যবিবাহ কমানো তো যায়ইনি, বরং এ ধরনের আইনবহির্ভূত বিয়ে বৃদ্ধির হার মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে শঙ্কিত করছে৷ দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটির শতকরা ১৮ ভাগ মেয়েরই বয়স ১৮ হবার আগে বিয়ে হয়ে যায়৷
সম্প্রতি ‘আওয়ার টাইম টু সিং অ্যান্ড প্লে' শিরোনামে ‘হিমালয়ের দেশ' নেপালের শৈশবেই বিয়ে হয়ে যাওয়া শতাধিক মেয়ের সাক্ষাৎকারভিত্তিক এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ৷ প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারের যথেষ্ট উদ্যোগের অভাব এবং সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের কারণে দেশটিতে বাল্যবিবাহ বাড়ছে৷
নেপাল সরকারের পক্ষ থেকে অবশ্য দাবি করা হচ্ছে, নির্ধারিত বয়সের আগে কেউ যাতে বিয়ে না করে, তা নিশ্চিত করতে যথেষ্ট কড়াকড়ি আরোপ করা হচ্ছে এবং তার সুফলও পাওয়া যাচ্ছে৷ নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ অধিদপ্তরের ড. কিরন রূপাখেতি বলেন, ‘‘এই প্রথমবারের মতো সাংবিধানিকভাবে বাল্যবিবাহ নিষিদ্ধ হয়েছে৷''
সম্প্রতি প্রণয়ন করা এক আইনে বলা হয়েছে, কোনো নারী বা পুরুষ বয়স আঠারো হওয়ার আগে বিয়ে করলে সেই বিয়ে অবৈধ বলে গণ্য হবে৷ এমন বিয়ের শাস্তি তিন বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার নেপালি টাকা জরিমানা৷
কিন্তু নিউইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, নেপালে বাল্যবিবাহ রোধে কঠোর আইন প্রণয়ন করা হলেও তার চর্চা হয়না, বরং, এমন বিয়েকে ‘সামাজিক বাস্তবতা' মেনে সরকারিভাবে তা নথিভুক্তও করা হয়৷ একই কারণে পুলিশও এমন বিয়ের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়না৷ তাই নেপালে বাল্যবিবাহ কমছে না৷
এসিবি/এসবি (এএফপি, এপি)
আপনার কী মনে হয়? কেন বাল্যবিবাহ কমাতে পারছে না নেপাল? লিখুন নীচের ঘরে৷