বাংলা টেস্টপেপারে 'আজাদ কাশ্মীর' কেন!
১৮ জানুয়ারি ২০২৩সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ অনুমোদিত একটি টেস্ট পেপার প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে মালদা রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যামন্দির স্কুলের একটি মডেল প্রশ্নপত্র নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক মহলে। প্রশ্নপত্রটিতে বলা হয়েছে, ম্যাপে 'আজাদ কাশ্মীর' চিহ্নিত করতে হবে। পাকিস্তানে আজাদ কাশ্মীর শব্দটি প্রচলিত। কিন্তু ভারত কাশ্মীরের ওই অংশকে পাকিস্তান অধিকৃতকাশ্মীর বলে চিহ্নিত করে। সমস্যার সূত্রপাত সেখানেই।
প্রশ্নপত্রটির ছবি তুলে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত হওয়া উচিত। শিক্ষা দপ্তরের বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করা উচিত। তার ভাষায়, ''যারা একাজ করেছে, তারা জাতীয়তাবিরোধী বা অ্যান্টি ন্যাশনাল। এদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিত।'' পশ্চিমবঙ্গের শাসকদলের বিরুদ্ধেও সোচ্চার হয়েছেন সুভাষ।
সুভাষের এই মন্তব্যের পর মুখ খুলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারও। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেছেন, ''পর্ষদকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। যারা একাজ করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।''
পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, ''আমরা তদন্ত শুরু করেছি। যারা এই প্রশ্নপত্র তৈরি করেছেন এবং অনুমোদন দিয়েছেন, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'' রামানুজ জানিয়েছেন, পর্ষদের সিদ্ধান্ত ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
স্কুলের সূত্র জানিয়েছে, রামকৃষ্ণ মিশন স্কুল মালদার যে শিক্ষক এই প্রশ্নপত্র তৈরি করেছেন, তিনি শারীরশিক্ষার শিক্ষক। তবে তিনি ইতিহাস পড়েছেন। স্কুলের হেডমাস্টারের নির্দেশেই তিনি এই প্রশ্নপত্র বানিয়েছেন বলে সূত্র জানিয়েছে।
রামানুজ জানিয়েছেন, তদন্তে সবদিক দেখা হবে। প্রয়োজনে স্কুলের সমস্ত শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। অন্যদিকে, তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ পুরো বিষয়টি থেকে হাত গুটিয়ে নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ''তৃণমূল ধর্মনিরপেক্ষ দল। এই ধরনের বিষয় আমরা সমর্থন করি না। যারা বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করছেন, তাদের ধিক্কার জানাই।''
পাকিস্তানে অবশ্য পাকিস্তান অধ্যুষিত কাশ্মীরকে আজাদ কাশ্মীর হিসেবেই চিহ্নিত করা হয়। কিছুদিন আগে সেখানে নির্বাচনও হয়েছে।
এসজি/জিএইচ (পিটিআই, এনডিটিভি)