১১টি নৃ-গোষ্ঠীর ভাষা বিপন্ন
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনষ্টিটিউট'র মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. জীনাত ইমতিয়াজ আলী জানান, গত বছরের নভেম্বরে ‘নৃ-ভাষাবৈজ্ঞানিক সমীক্ষা' শীর্ষক গবেষণা শুরু হয়েছে৷ এ গবেষণা কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশের নৃ-জনগোষ্ঠীর ভাষা ও জাতি বিষয়ক তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে৷ এছাড়া তাদের ভাষা সংরক্ষণেরও উদ্যোগ নেয়া হবে এ কর্মসূচির আওতায়৷
চলতি বছরেই ইনষ্টিটিউটের নৃ-ভাষা বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা কার্যক্রম শেষ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি৷ তিনি বলেন, ‘‘এ গবেষণা কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশের নৃ-গোষ্ঠীর অবস্থানই শুধু চিহ্নিত হবে না৷ পাশাপাশি তাদের ভাষা পরিস্থিতির বাস্তব পরিচয়ও উদ্ধার করা সম্ভব হবে৷ যা ভাষা পরিকল্পনার মাধ্যমে মাতৃভাষায় শিক্ষা দানের জন্যে পাঠ্যপুস্তক রচনার কাজে সহায়তা করবে৷''
ইউনেস্কোর তথ্য মতে, বাংলাদেশে কোদা, মেগাম, পাঙ্গুখুয়া – এই ৩টি নৃগোষ্ঠীর ভাষা ভয়াবহ বিপন্ন অবস্থার অবস্থায় আছে৷ এগুলো যে কোনো সময় হারিয়ে যেতে পারে৷
আর বিপন্ন ভাষা রয়েছে ৮টি৷ এগুলো হলো: বম, চাক, আসো চিন, খাসি, ম্রু, কুরুক্স, প্নার ও সৌরিয়া পাহাড়িয়া৷ এখনই সংরক্ষণের প্রচেষ্টা না নেয়া হলে অচিরেই পৃথিবীর বুক থেকে হারিয়ে যাবে এইসব ভাষা৷ জীনাত ইমতিয়াজ আলী বলেন, তাঁরা চেষ্টা করছেন এই ভাষাগুলোকে বাঁচিয়ে রাখতে৷
আর বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান জানান, এ জন্য তাঁরাও কাজ করছেন৷ তাঁরাও চেষ্টা করছেন বাংলাদেশ থেকে কোনো নৃ-গোষ্ঠীর ভাষা যেন হারিয়ে না যায়৷ তিনি মনে করেন, নৃ-গোষ্ঠীর ভাষাকে বাঁচিয়ে রাখার মাধ্যমে মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধা জানান সম্ভব৷
১৯৯৯ সালের ১৭ই নভেম্বর অমর একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে ইউনেস্কো৷ ২০১১ সালের ২৭শে জানুয়ারি আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের৷ এই প্রতিষ্ঠানটি আরো নানা ধরনের কাজ হাতে নিচ্ছে ভাষা নিয়ে৷