বাংলাদেশের দুই নারী পাইলট
৩ জুন ২০১৬বিমান বাহিনীতে নারী বৈমানিক নিয়োগের সিদ্ধান্ত ঘোষণা শুনেই সুযোগটি লুফে নিয়ে নিজের স্বপ্ন পূরণে ব্রতী হয়েছিলেন বিমান বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তার সন্তান তামান্না্-ই-লুৎফী৷ কৃষিবিদের সন্তান নাইমা হকও শৈশব থেকেই স্বপ্ন দেখতেন আকাশে ওড়ার৷ দু'জনেরই স্বপ্নপূরণ হয়েছে৷ প্রথমে হেলিকপ্টার উড্ডয়ন প্রশিক্ষণে যোগ দিয়ে সফল হয়েছেন দুজনই৷ সেই প্রশিক্ষণ শেষ করে শুরু করেছিলেন বিমান বাহিনীর ১৮ নং স্কোয়াড্রনের অধীনে বিমান চালনার প্রশিক্ষণ৷ সেখানেও তাঁরা সফল এবং সেই সুবাদে দুজনই শুরু করেছেন বৈমানিকের জীবন৷
গত এক বছরে তাঁদের নিয়ে বাংলাদেশের এক বেসরকারি টিভি চ্যানেলের তৈরি প্রতিবেদনটি ইউটিউবে দেখা হয়েছে ২ লক্ষ ১০ হাজার ৮৭৪ বার৷
ভিডিওটি দেখলে বিমানবাহিনীতে নারীদের স্বমহিমায় উজ্জ্বল হয়ে ওঠার আরো কিছু দৃষ্টান্তের কথাও জানা যাবে৷
তবে তামান্না্-ই-লুৎফী ও নাইমা হক শুধু বাংলাদেশ বিমান বাহিনী নয়, পুরো দেশেই উজ্জ্বল দুটি নাম৷ তাঁদের সম্পর্কে বিমান বাহিনীর এক কর্মকর্তা বলছিলেন, ‘‘বাংলাদেশের প্রথম মহিলা সামরিক পাইলট হিসেবে স্যাররা যে দক্ষতা অর্জন করেছেন তা আসলেই প্রশংসার ব্যাপার৷ ফ্লাই করার জন্য যে দক্ষতা, বুদ্ধিদীপ্ততা, মানসিক শক্তির প্রয়োজন তার সবই স্যারদের মধ্যে রয়েছে৷ স্যারদের সঙ্গে কাজ করা গর্বের ব্যাপার৷''
এসিবি/এসবি