বাংলাদেশের কম জনপ্রিয় খেলার তারকারা
একসময় বাংলাদেশে ফুটবলারদের তারকাখ্যাতি ছিল৷ এখন সেটি পাচ্ছেন ক্রিকেটাররা৷ তবে অপেক্ষাকৃত কম জনপ্রিয় খেলা খেলেও স্বমহিমায় উজ্জল হয়েছেন, তারকার মর্যাদাও পেয়েছেন কয়েকজন৷
জোবেরা রহমান লিনু
এক-দুইবার নয়, মোট ১৬ বার জাতীয় টেবিল টেনিস চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন লিনু৷ তাই ২০০৩ সালে গিনেস বুকে নাম ওঠে তাঁর৷
রানী হামিদ
তিনি দাবায় বাংলাদেশের প্রথম মহিলা আন্তর্জাতিক মাস্টার৷ জাতীয় মহিলা দাবায় ১৮ বার সেরা হয়েছেন ৭৩ বছর বয়সি রানী হামিদ৷ এখনও খেলছেন তিনি৷ ২০১৮ সালে মেয়েদের দাবা বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন রানী হামিদ৷ দাবার প্রসারেও ভূমিকা রেখেছেন তিনি৷ তাঁর লেখা ‘মজার খেলা দাবা’ বইটি জনপ্রিয়তা পেয়েছে৷ রানী হামিদের সন্তান কায়সার হামিদ আশির দশকের তারকা ফুটবলার৷
বিদ্যুৎ কুমার রায়
তাঁকে বাংলাদেশের কিংবদন্তি ভারোত্তোলক বলা যায়৷ কারণ, জাতীয় প্রতিযোগিতায় টানা ২৫ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ময়মনসিংহের এই ছেলে৷ ২০১৪ সালে তিনি অবসর নেন৷
মাবিয়া আক্তার সীমান্ত
২০১৬ সালের দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে মেয়েদের ৬৩ কেজি ওজন শ্রেণির ভারোত্তলনে স্বর্ণ জয় করেন মাবিয়া৷ সেই সময় পুরস্কার গ্রহণ অনুষ্ঠানে জাতীয় সংগীত বাজার সময় তাঁর কান্না কাঁদিয়েছিল অনেককে৷
নিয়াজ মোরশেদ
১৯৮৭ সালে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দাবাড়ু হিসেবে মাত্র ২১ বছর বয়সে গ্র্যান্ডমাস্টার খেতাব অর্জন করেছিলেন বাংলাদেশের নিয়াজ মোরশেদ৷ মাত্র নয় বছর বয়সে জাতীয় দাবা প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি৷ মোট পাঁচবার তিনি জাতীয় দাবা চ্যাম্পিয়ন হন৷ আর ছয়বার দাবা অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন৷
জিয়াউর রহমান
বাংলাদেশের দ্বিতীয় গ্র্যান্ডমাস্টার তিনি৷ ২০০২ সালে এই খেতাব পান৷ ছেলে ১২ বছর বয়সি তাহসিন তাজওয়ার জিয়াও প্রতিযোগিতামূলক দাবা খেলছে৷ গত বছর প্রিমিয়ার দাবা লিগে বাবার মুখোমুখি হয়েছিল সে৷
সাবরিনা সুলতানা
১৯৯৭ সালে কমনওয়েলথ গেমসের শ্যুটিংয়ে সোনা জেতেন সাবরিনা৷ এছাড়া সাফ গেমসে তিনটি ও সাফ শ্যুটিংয়ে দুটি সোনা জেতেন বাংলাদেশের শ্যুটিংয়ের এই অন্যতম তারকা৷ তাঁর স্বামী সাইফুল আলম রিংকিও সাফ গেমসে ব্যক্তিগত ও দলীয় মিলে পাঁচটি আর সাফ শ্যুাটিংয়ে ছয়টি সোনার পদক জেতেন৷
কামরুন নাহার ডানা
জাতীয় ব্যাডমিন্টনে তিন বার সেরা হন তিনি৷ ব্যাডমিন্টন খেলা ছাড়ার পর থেকে ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন৷ ২০০৪ সালে মৌলবাদীদের আন্দোলনের ভয়ে যখন কেউ মহিলাদের ফুটবল মাঠে নামানোর সাহস পাচ্ছিলেন না, মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদিকার দায়িত্বে থাকা ডানা তখনই মেয়েদের প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল চালু করেন৷
ঈসা মিয়া
বড় ভাই মুসা মিয়াকে নিয়ে একসময় হকিতে ঢাকার মাঠ কাঁপিয়েছেন ঈসা মিয়া৷