অ্যাস্টন বর্ণবিদ্বেষী!
৪ মে ২০১২‘খাচ্ছিল তাঁতি তাঁত বুনে / কাল হল তার এঁড়ে গরু কিনে!' এই প্রবাদটি দিব্যি খেটে যেতে পারে এই ঘটনায়৷ হলিউডের একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থা একটা জনপ্রিয় পোট্যাটো চিপস-এর বিজ্ঞাপন বানাতে গিয়ে নামকরা অভিনেতা অ্যাস্টন কুচারকে বলিউডি প্রোডিউসার সাজিয়ে বেশ বিপাকে পড়েছে৷ সেখানে কুচারকে এমনভাবে ব্যবহার করা হয়েছে, যাতে তাঁকে দেখে, বা তাঁর মুখের বাদামি রঙে, তাতে একখানা তিল বা তার হাবভাবে গ্রাম্যতা দেখে মনে হতেই পারে এ আসলে বর্ণবিদ্বেষ৷
হয়েওছে তাই৷ তামাসার নাম করে বলিউডকে নিয়ে এমন এই মজা করা হয়েছে যে তাতে রীতিমত ক্ষিপ্ত অনেকেই৷ ফলে এই বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে উঠছে দেখে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছে ‘পপচিপস' নামের ওই সংস্থাটি৷ ইন্টারনেট থেকে সেই বিজ্ঞাপনটিও তুলে নিয়েছে তারা৷ উপায় ছিলও না তেমন কোন আর৷ কারণ, দুনিয়া যেখানে প্রতিদিন প্রতি মুহূর্তে বদলে চলেছে, সেখানে ইন্টারনেটে এ ধরণের রসিকতার মোড়কে অপমান কেই বা সহ্য করবে?
অ্যাস্টন কুচারের পরিস্থিতিও বেশ সসেমিরে বলা যায়৷ অভিনেতা হিসেবে এই ভিডিওতে অন্য যেসব চরিত্রগুলিতে তাঁকে দেখা গেছে, তা নিয়ে কারও কোন ক্ষোভ নেই৷ কিন্তু, মুখে বাদামি রঙ মেখে বলিউডি প্রযোজক রাজ এর ভূমিকাতে অ্যাস্টনকে কেউই মেনে নিতে পারছেন না৷ তাঁর বিরুদ্ধে চারদিক থেকে শোনা যাচ্ছে, অ্যাস্টন বর্ণবিদ্বেষী৷ সবচেয়ে বেশি অপপ্রচার হচ্ছে ইন্টারনেটেই৷ কয়েকটি বর্ণবিদ্বেষ বিরোধী সংস্থা তো সরাসরি অ্যাস্টনকেই আক্রমণ করেছে৷ সুতরাং, সবটা মিলিয়ে এখন যা পরিস্থিতি, তাতে বেশ বোঝা যাচ্ছে, বলিউডকে নিয়ে এমনধারা ঠাট্টা তামাসাও বরদাস্ত করবে না বলিউড ফ্যানেরা৷
দুনিয়া জুড়ে বলিউড ছবির গুণগ্রাহীদের সংখ্যা যে বাড়ছে, এর থেকে এটাও বোধহয় প্রমাণিতই হল!
প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়, (এএফপি, এপি)
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন