ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলা: স্বপ্ন, বিপ্লব ও সাহিত্যে নোবেল
লেখক, প্রকাশক এবং পুস্তক বিপণনকারীদের মধ্যে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক জাল তৈরির লক্ষ্য নিয়ে প্রতি বছর জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলার আয়োজন করা হয়৷ ২০ অক্টোবর এই মেলার পর্দা নামবে৷ এবারেরর মেলার আকর্ষণীয় ১০টি দিক দেখুন ছবিঘরে৷
স্বপ্ন
‘যে স্বপ্ন আমরা বহন করি’ এই স্লোগান নিয়ে নরওয়ে এবারের বইমেলার অতিথি দেশ হিসাবে নিজেদের উপস্থাপন করে৷ নরওয়েজিয়ান ভাষার ৫১০টি বই জার্মান ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে, যার কয়েকটি বছরের শেষ দিকে প্রকাশিত হবে৷
সাহিত্য ট্রেন
ক্রাউন প্রিন্সেস মেটে-মেরিট তার স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে ট্রেনে করে ফ্রাঙ্কফুট বই মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসেছিলেন৷ এর বাইরে মাজা লুন্ডে, হার্বজোর্গ ওয়াসমো, জোস্টেইনসহ বেশ কয়েকজন নরওয়েজিয়ান লেখক ট্রেনে করে ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন৷
নতুন নোবেলজয়ী
সাহিত্যে নোবেল পাওয়ার পাঁচ দিন পর পোল্যান্ডের অলগা তকারচোকের ফ্র্যাঙ্কফুর্ট বইমেলার উদ্বোধনকালে তার নোবেল পুরষ্কার জয়ের খবর শোনার পর যে অনুভুতি হয়েছিল সেই গল্প শোনান৷ তিনি বলেন, ‘‘...আমি হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম৷’
জার্মান বুক প্রাইজ
এই পুরস্কার ফ্রাঙ্কফুর্ট বই মেলার অংশ না হলেও গত ১৫ বছর ধরে মেলা উদ্বোধনের আগের রাতে এই পুরষ্কার দেওয়া হচ্ছে৷ এবারের এই পুরষ্কার জিতেছেন সাসা স্ট্যানিসিক৷
তারার মেলা
ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলায় বাইরে গত বছর থেকে লেখকদের উপস্থাপনার সুযোগ রাখা হয়৷ এবার নতুন লেখাগুলো নিয়ে নামী অনেক লেখক কথা বলবেন জানিয়ে আয়োজকরা বলছেন, এটি তারার মেলায় রূপ নেবে৷
নাগরিক স্বাধীনতা
জার্মান প্রকাশক ও বুকসেলার্স অ্যাসোসিয়েশনের বিদায়ী প্রধান হেইনিরিচ রিটমেল বলেছেন, "শব্দের স্বাধীনতা হলো আমাদের গণতন্ত্রের ভিত্তি এবং যা আলোচনা সাপেক্ষ নয়৷ অনেক দেশে লেখক, প্রকাশক এবং বই বিক্রেতাদের ভয় পেতে হয়... যদি তাদের কারাবন্দি করা হয়৷’’
শিল্প ও বিপ্লব
‘আপনার বিপ্লব তৈরি করুন’ বই মেলায় এই স্লোগানটি এমন মানুষের জন্য বাছাই করা হয়েছে যারা বিপ্লবী ধারণা নিয়ে এ সময়ের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করতে চান৷
মানবিক প্রভাব
সংস্কৃতি ও প্রকৃতির সম্পর্ক এবারের বইমেলার অন্যতম মূল বিষয়৷ এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক, জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে অসহায়ত্ব ও আশা নিয়ে কীভাবে সচেতনতা তৈরি করা যায় তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়৷
পুরষ্কার
ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলায় মোট ৯৩টি পুরষ্কার দেওয়া হবে৷ সাহসী সাংবাদিকতার জন্য এবার রাইফ বাদোয়া পুরষ্কারটি তিউনিসিয়ার হ্যানেই জিবিসকে দেয়া হয়েছে৷
শান্তি পুরষ্কার
১৯৫০ সাল থেকে জার্মান পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স অ্যাসোসিয়েশন জার্মান বুক ট্রেডের শান্তি পুরষ্কার দিয়ে আসছে৷ এবারের মেলার শেষ দিন আগামী ২০ অক্টোবর আলোকচিত্রী সেবাস্তিয়াও সালগাদোর হাতে এই পুরষ্কার তুলে দেয়া হবে৷