ফুটবল বিশ্বকাপের স্বপ্ন দেখছে ভিয়েতনাম
১৯৩৮ সালের পর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কোনো দেশ বিশ্বকাপ ফুটবল খেলতে পারেনি৷ তবে আগামী বছরের বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন দেখছে ভিয়েতনাম৷
একমাত্র বিশ্বকাপ
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়া, যেটি ১৯৩৮ সালে ডাচ ইস্ট ইন্ডিজ নামে পরিচিত ছিল, তারা বিশ্বকাপ ফুটবল খেলেছিল৷ এরপর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আর কোনো দেশ সেই সুযোগ পায়নি৷ যদিও ঐ অঞ্চলে প্রায় ৬৫ কোটি মানুষ বাস করেন৷ এমনকি এই অঞ্চলের কোনো ফুটবলার ইউরোপের কোনো শীর্ষ লিগেও খেলার সুযোগ পাননি৷ ছবিতে ১৯৩৮ বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ শুরুর দৃশ্য দেখা যাচ্ছে৷
কারণ
ভিয়েতনামের এক পেশাদার ক্লাবের সাবেক প্রধান নির্বাহী জুং লে ডয়চে ভেলেকে বলেন, ঐতিহাসিকভাবে এই অঞ্চলের দেশগুলোতে যুব পর্যায় থেকে ফুটবলার তৈরির ভালো ব্যবস্থা নেই৷ তবে ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরে কাজ করা ইংলিশ কোচ স্টিভ ডার্বি ফুটবলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ব্যর্থতার জন্য ফুটবল সংস্থার কর্তাব্যক্তিরা দায়ী মনে করেন৷ ‘‘ফুটবল প্রশাসনের দুর্বল পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি এর জন্য দায়ী,’’ বলেন তিনি৷
ব্যর্থতা দূর করবে ভিয়েতনাম?
২০২২ বিশ্বকাপের এশিয়া অঞ্চলের বাছাই পর্বের চূড়ান্ত রাউন্ডে প্রথমবারের মতো খেলছে ভিয়েতনাম৷ সাম্প্রতিক সময়ে যুব ফুটবলারদের উন্নয়নে নজর দেয়ায় ভিয়েতনাম এই পর্যায়ে যেতে পেরেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা৷ দেশটির ‘পিভিএফ যুব ফুটবল প্রশিক্ষণ কেন্দ্র’ ২০২০ সালে এশিয়ার সেরা তিন ফুটবল অ্যাকাডেমির মধ্যে একটির স্বীকৃতি পেয়েছিল৷
কোন পর্যায়ে আছে ভিয়েতনাম?
এশিয়ার বাছাই পর্বের চূড়ান্ত পর্যায়ে গ্রুপ বি-তে আছে ভিয়েতনাম৷ অন্য দলগুলো হচ্ছে জাপান, অস্ট্রেলিয়া, সৌদি আরব, চীন এবং ওমান৷ গ্রুপের সেরা দুই দল সরাসরি বিশ্বকাপ খেলবে৷ আর তৃতীয় দল অন্য গ্রুপের তৃতীয় দলের সঙ্গে প্লে-অফ খেলবে৷ সেটিতে জয় পেলে অন্য আরেক মহাদেশের দলের সঙ্গে প্লে-অফ খেলতে হবে৷ বৃহস্পতিবার প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের সঙ্গে খেলতে নামবে ভিয়েতনাম৷
সুযোগ কতটুকু?
ইংলিশ কোচ স্টিভ ডার্বি মনে করছেন ২০২২ বিশ্বাপে খেলতে পারবে না ভিয়েতনাম৷ তবে ২০২৬ বিশ্বকাপে তাদের সুযোগ আছে৷ ঐ বিশ্বকাপে দলের সংখ্যা ৩২ থেকে ৪৮ হবে৷ এশিয়া থেকে সরাসরি খেলার সুযোগ পাওয়া দলের সংখ্যা আট হতে পারে৷ তখন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কোনো দল আবারও বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পেতে পারে এবং সেই দলটা হতে পারে ভিয়েতনাম৷