1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রশাসনিক কর্মকর্তারা কেন আক্রান্ত হচ্ছেন?

২৫ জুন ২০২০

পত্রপত্রিকায় দেখলাম এখন পর্যন্ত প্রশাসনের দুইশ'রও বেশি বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন৷ এদের একশ' জনের মত এখনো অসুস্থ৷ মোট আক্রান্তের প্রায় অর্ধেক মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা৷

https://p.dw.com/p/3eKAY
ছবি: bdnews24

এই আক্রান্তরা কেউ মন্ত্রণালয়ে, বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়সহ বিভিন্ন সরকারি দফতরের কর্মকর্তা৷

মার্চ মাসে বাংলাদেশে করোনার সংক্রমণ শুরু হবার পর থেকে এক মাস আগ পর্যন্তও সংখ্যাটি ছিল অর্ধেক৷ গেল এক মাসে তা দ্বিগুণ হয়ে গেল৷ পুলিশেও গেল রোববার পর্যন্ত মোট সংক্রমিতের সংখ্যা প্রায় নয় হাজার৷ ডাক্তার, নার্স, চিকিৎসাকর্মীসহ ফ্রন্টলাইনের সব পেশার মানুষ করোনায় কমবেশি আক্রান্ত৷ এদের যারা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন, তাদের করোনায় সংক্রমণ হবার ঝুঁকি বেশি এটা বলাই বাহুল্য৷ কিন্তু প্রশ্ন হল, যারা অফিসে রয়েছেন, তারা কেন এত আক্রান্ত হচ্ছেন? হতে পারে, যেহেতু টেস্টের সংখ্যা বেড়েছে, সে কারণে কর্মকর্তাদের মাঝেও আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে৷

আমরা দেখেছি, অনেকে অল্প আলামত দেখা দিলেও করোনার পরীক্ষা করাতে যেতে চান না৷ অথচ গবেষকেরা বারবারই বলেছেন, সাধারণ সর্দি কাশি জরের লক্ষ্মণ বা কখনো কোন লক্ষ্মণ ছাড়াও করোনার সংক্রমণ হতে পারে৷ এপ্রিল থেকে সরকার মাঠ পর্যায়ে কর্মরত চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ যে কেউ সরকারি নির্দেশনা পালন করতে গিয়ে করোনা আক্রান্ত বা মৃত্যুবরণ করলে অর্থ প্রণোদনার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে৷ এই প্রণোদনা হয়ত অনেককে পরীক্ষা করাতে উৎসাহিত করেছে, যা ইতিবাচক৷

HA Asien | Zobaer Ahmed
যুবায়ের আহমেদ, ডয়চে ভেলে

এছাড়া পত্রিকাগুলো বলছে, এ পর্যন্ত প্রশাসনের আক্রান্ত ২১১ জন বিসিএস কর্মকর্তার ১০৪ জন মাঠ প্রশাসনে কর্মরত৷ শুরু থেকেই শুনে আসছি, সচিবালয়ে সংক্রমণ বন্ধ নেই৷ কিন্তু এসব অফিস বা মন্ত্রণালয়গুলোতে কি পর্যাপ্ত সুরক্ষার ব্যবস্থা আছে? যদি থাকে তাহলে কেন এত সংক্রমণ? সচিবালয়ে নানা কাজে বাইরে থেকে মানুষকে আসতে হয়৷ এছাড়া অফিসগুলোতে যেভাবে এখনো ফাইল চালাচালির পুরোনো সিস্টেম বহাল আছে, তাতে সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকি সেখানে আছে বৈকি৷ এই করোনা উপলক্ষে অন্তত এই ব্যবস্থা আরো আধুনিকীকরণের উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে৷

এছাড়া সচিবালয়ে অনেক কর্মী আছেন, যাদের কাজের পরিধি এমন যে, একটু ডিজিটালাইজেশনের ছোঁয়া থাকলে সহজেই তারা ঘরে বসে কাজ করতে পারতেন৷ এর বাইরে অনেক কর্মীর প্রয়োজনীয়তা এই আধুনিক যুগে ফুরিয়েছে৷ তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে অন্য কাজে ব্যবহার করা উচিত৷ সেই পুরানো সিস্টেমের যুগ থেকে আমাদের বের হয়ে আসতেই হবে, করোনা অন্তত সেই তাগিদটি দিচ্ছে আমাদের৷