পৃথিবীর সব চেয়ে বড় হস্তশিল্প মেলা
এক আকাশের তলায় গোটা বিশ্বের হস্তশিল্প। এক কথায় এটাই সূরযকুণ্ড মেলা। দিল্লির অদূরে হরিয়ানায় এ বার ৩৪তম হস্তশিল্প মেলার আয়োজন হয়েছে। বসেছে বাংলাদেশের তিনটি স্টল।
ইতিহাসের সূরযকুণ্ড
দশম শতাব্দীতে তৎকালীন রাজারা আরাবল্লি পাহাড়ের মাঝে তৈরি করেছিলেন লেক বা কুণ্ড। সেখান থেকেই স্থানীয় অঞ্চলে পাণীয় জল সরবরাহ হত। এখন আর সেই লেকে জল নেই। বিশাল প্রান্তরে বসে মেলা।
দিল্লির অদূরে
দিল্লি একেবারে লাগোয়া সূরযকুণ্ড। তবে ভৌগোলিক ভাবে এর অবস্থান হরিয়ানায়। এ বছর শুরু হয়েছে ৩৪তম হস্তশিল্প মেলা।
আদি অনন্ত
আরাবল্লির উঁচু নীচু প্রান্তরে মেলার এ মাথা ও মাথা দেখা যায় না। ভিতরে রয়েছে অসংখ্য গেট। বিভিন্ন রাজ্য নিজেদের হস্তশিল্পের বিজ্ঞাপন করার জন্য তৈরি করেছে বিশাল আকারের তোরণ।
গোটা বিশ্বে এক মাঠে
দেশের ভিতরের রাজ্যগুলি তো বটেই, গোটা পৃথিবী থেকে হস্তশিল্পের সম্ভার নিয়ে শিল্পীরা চলে আসেন সূরযকুণ্ড মেলায়। আফগানিস্তান থেকে তাজাকিস্তান, নেপাল থেকে আফ্রিকা-- সকলেই হাজির মেলায়।
এবং বাংলাদেশ
এ বারের মেলায় বাংলাদেশের তিনটি স্টল বসেছে। বিক্রিও হচ্ছে প্রচুর।
ঢাকাই মসলিন
ঢাকাই জামদানি আর মসলিনের চাহিদা সব চেয়ে বেশি, জানাচ্ছেন মেলায় যোগ দেওয়া বাংলাদেশের ব্যবসায়ী। তাঁর বক্তব্য, যত দিন যাচ্ছে বিক্রিও তত বাড়ছে।
লক্ষ লক্ষ মানুষ
গত বছর সূরযকুণ্ড মেলায় সব মিলিয়ে এসেছিলেন ১২ লক্ষ মানুষ। বিদেশি এসেছিলেন প্রায় ২ লক্ষ। এ বার ভিড় তার চেয়েও বেশি হবে বলে উদ্যোক্তাদের দাবি।
বায়োস্কোপ
হারিয়ে যাওয়া বায়োস্কোপ নিয়ে মেলায় এসেছেন এই ভদ্রলোক। এ তাঁর পারিবারিক ব্যবসা। এখন আর সেই পসার নেই। কিন্তু বাপ-ঠাকুর্দার ব্যবসা এখনও ধরে রেখেছেন তিনি।
গর্তের ভিতর
গান চলছে। আর ভিতরে ঘুরছে ছবি। সিনেমারও আগে তৈরি হয়েছিল এই হাতে ঘোরানো বায়োস্কোপ।
আফ্রিকান নাচ
শুধু দোকান নয়। মেলা জুড়ে চলছে নাচ-গান। সুদূর উত্তর আফ্রিকা থেকে এই দলটি এসেছে সূরযকুণ্ডে অনুষ্ঠান করতে।
বল্লে বল্লে
এক দিকে যখন হচ্ছে আফ্রিকান নাচ, অন্য দিকে শুরু হয়েছে পাঞ্জাবি ভাংড়া। ছোটদের সঙ্গে এই নাচে অংশ নিচ্ছেন পর্যটকরাও।
খাবারের সম্ভার
মেলায় রয়েছে খাওয়া দাওয়ার অঢেল আয়োজন। বিদেশি খাবার থেকে একেবারে দেশি খাদ্য, সব কিছু পাওয়া যাবে।
আলোর মেলা
এমনই অসংখ্য আলোর স্টল হয়েছে এ বারের মেলায়। রাত যত বাড়ে মেলার পরিবেশও তত মায়াবী হয়ে ওঠে।
শিল্পীর মেলা
মেলায় বসেই কাঠ খোদাই করছেন এই শিল্পী। এসেছেন কেরালা থেকে। এমন এক একটি শিল্পকীর্তি তৈরি করতে তাঁর সময় লাগে কয়েক মাস।
বছর বছর সূরযকুণ্ড
মেলার উদ্যোক্তাদের বক্তব্য, সূরযকুণ্ড মেলা বিশ্বের সব চেয়ে বড় হস্তশিল্প মেলা। প্রতি বছর শীতের সময়ে আয়োজন হয় এই উৎসবের। টিকিটের দাম মাত্র ১২০ টাকা।
বিপুল আয়
প্রতি বছর এই মেলা থেকে কয়েকশ কোটি টাকা আয় হয় উদ্যোক্তা এবং সরকারের। বিক্রেতাদের বক্তব্য, তাঁরাও বিপুল রোজগার করেন প্রতি বছর।