1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পার্বত্য চট্রগ্রামে রাজনৈতিক কর্মী হত্যা

৪ মে ২০১৮

বৃহস্পতিবার রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমাকে গুলি করে হত্যা করা হয়৷ শুক্রবার তাঁর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে যাওয়ার পথে একটি মাইক্রোবাসে গুলি করে পাঁচজনকে হত্যা করা হয়৷

https://p.dw.com/p/2xB13
ছবি: DW/M. Mamun

শক্তিমান চাকমা ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি’ (এমএন লারমা) নামে একটি দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ছিলেন৷ ২০১০ সালে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি’ থেকে বেরিয়ে তিনি ঐ নতুন দলে যোগ দিয়েছিলেন৷

শুক্রবার নিহত হওয়া পাঁচজনের একজন তপনজ্যোতি চাকমা বর্মা ‘ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট’ বা ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) দলের প্রধান ছিলেন৷ ইউপিডিএফ নামে থাকা মূল দল থেকে বেরিয়ে তিনি ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) গড়ে তুলেছিলেন৷

নিহত বাকি চারজনের মধ্যে তিনজন শক্তিমান চাকমার দলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন৷ নিহত অন্যজন হলেন মাইক্রোবাসের চালক৷

শক্তিমান চাকমার দলের খাগড়াছড়ি জেলার রাজনৈতিক সম্পাদক বিভূরঞ্জন চাকমা জানান, শক্তিমানের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে সংগঠনের মোট ১২ জন নেতাকর্মী খাগড়াছড়ি থেকে মাইক্রোবাসে করে রাঙামাটির নানিয়ারচরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন৷ পথে বেতছড়ি এলাকায় তাদের গাড়িতে ‘ব্রাশফায়ার’ করা হয়৷ আর শক্তিমান নিহত হয়েছিলেন বাসা থেকে অফিসে যাওয়ার পথে৷ তাঁকে হত্যার জন্য ইউপিডিএফকে দায়ী করেছে তাঁর দল৷ তবে ইউপিডিএফ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে৷

শুক্রবারের হত্যাকাণ্ডের জন্যও ইউপিডিএফকে দায়ী করা হচ্ছে৷ নিহতরা যে দলের কর্মী ছিলেন সেই ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) দলের মিডিয়া উইংয়ের দায়িত্বে থাকা লিটন চাকমা বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘‘শক্তিমান চাকমাকে হত্যার পর তপনজ্যোতি চাকমা বর্মাকে হত্যার মধ্য দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে একক সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য তারা (ইউপিডিএফ) একের পর এক খুনের ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে৷’’

পরপর দুদিনের হত্যাকাণ্ডে পাহাড়ে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে৷

জেডএইচ/ডিজি (বিডিনিউজ, বাংলা ট্রিবিউন)