পাইলটদের বেতনে বৈষম্য দূর করার আশ্বাস
২৮ জুলাই ২০২১বাপার সভাপতি ক্যাপ্টেন মাহবুবুর রহমান ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ তথ্য জানান৷ তিনি বলেন, ১৯ জুলাই বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু সালেহ মোস্তফা কামালসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বাপা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বিমানের পাইলটদের বেতনবৈষম্য নিরসনের আশ্বাস দিয়েছেন ৷
"এজন্য আমরা যেই কর্মসূচিগুলো ৩০ জুলাইয়ের পর থেকে পালন করবো বলে ঘোষণা দিয়েছিলাম, সেগুলো স্থগিত করেছি৷ স্বাভাবিকভাবেই ফ্লাইট পরিচালনা করবো৷ ”
মহামারিকালে বিমানে সবার বেতন কাটার সিদ্ধান্ত হয়েছিল৷ দেড় বছর বাদে অন্যদের আগের মতো বেতন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও পাইলটদের ক্ষেত্রে তা হয়নি ৷ সেই কারণে কর্মবিরতির হুমকি দিয়েছিলেন রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থাটির পাইলটরা ৷ করোনার প্রকোপ শুরুর পর বিশ্বের আকাশপথে চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ৷ যাত্রীবাহী ফ্লাইট বন্ধ হওয়ার পর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ কর্মীদের বেতন কমিয়ে আনে৷ বিমান চলাচল এখনও পুরোদমে চালু হয়নি৷ তবে গত ১৩ জুলাই বিমানের পরিচালক (প্রশাসন) জিয়াউদ্দীন আহমেদের একটি অফিস আদেশে সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন কাটার সিদ্ধান্তে নানা পরিবর্তন আসে৷
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে বর্তমানে কাজ করছেন ১৫৭ জন পাইলট ৷ ২০২০ সালের মে মাস থেকে তাদের বেতন ২৫ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কাটা হচ্ছে ৷ বিমানের আদেশে বলা হয়, বিমানে কর্মরত ‘কর্মকর্তা' এবং যেসব ককপিট ক্রুর চাকরির বয়স শূন্য থেকে পাঁচ বছর, জুলাই মাসে তাদের কোনো বেতন কাটা হবে না ৷ তবে পাইলটসহ যেসব ককপিট ক্রুর চাকরির বয়স ৫ থেকে ১০ বছর, জুলাই মাসে তাদের বেতন থেকে ৫ শতাংশ এবং যাদের ১০ বছর বা এর বেশি, তাদের ২৫ শতাংশ বেতন কাটা হবে৷
পাইলটরা ওভারসিজ অ্যালাউন্স পেতেন, যা তাদের বেতনের ২০ শতাংশ৷ সেটা এখন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ বলে মূলত তাদের বেতন ২৫ শতাংশের পরিবর্তে ৪৫ শতাংশ কাটা হবে৷ ৫ শতাংশ বেতন যাদের কাটা হবে, তাদের ক্ষেত্রে সেটা দাঁড়াবে ২৫ শতাংশে৷
যাদের বেতন কাটা হবে না তাদের সংখ্যা ১০ জনের বেশি নয় বলে পাইলটরা জানান৷
এসব কারণে যদি বিমান কর্তৃপক্ষ ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে অন্যান্য বিমান কর্মকর্তা/কর্মচারীর মতো বেতন সমন্বয় না করে তাহলে ‘শুধু বিমান ও বাপার মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী ফ্লাইট পরিচালনা করবে' বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন পাইলটরা৷
এনএস/এসিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)