1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পর্নোগ্রাফি মামলায় ইসলামি নেতা!

৩০ মে ২০১৭

ইন্দোনেশিয়ার পুলিশ একটি পর্নোগ্রাফি মামলায় রিজিক শিহাব নামে এক ইসলামি মৌলবাদি গোষ্ঠীর নেতার নাম সন্দেহভাজনের তালিকায় রেখেছে৷ সাবেক জাকার্তা গভর্নরের বিরুদ্ধে তিনি বেশ কয়েকবার বিক্ষোভের আয়োজন করেছিলেন৷

https://p.dw.com/p/2doPJ
Indonesien Habib Rizieq Shihab, FPI
ছবি: Imago/Zuma Press

জাকার্তা পুলিশের মুখপাত্র আর্গো ইয়ুভনো এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন৷ এক নারীকে গ্রাফিক বার্তা ও নগ্ন ছবি পাঠিয়ে শিহাব পর্নোগ্রাফি-বিরোধী আইন ভেঙেছেন বলে জানিয়েছেন ইয়ুভনো৷ এখন তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হবে ও তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হবে বলেও মঙ্গলবার জানান পুলিশের ঐ মুখপাত্র৷

তবে মানহানির অপর এক মামলায় অভিযুক্ত শিহাব দেশের বাইরে আছেন৷ কয়েকদিন আগে সৌদি আরব গিয়ে তিনি এখনও দেশে ফেরেননি৷ মানহানির মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে পুলিশ কয়েকবার তাঁর বিরুদ্ধে সমন জারি করলেও তিনি হাজিরা দেননি৷

অভিযোগ প্রমাণিত হলে শিহাবের সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের জেল হতে পারে৷

তবে শিহাবের আইনজীবী সুগিতো আমতো প্রাউইরো ইসলামি ঐ নেতার বিরুদ্ধে আনা পর্নোগ্রাফিবিরোধী আইন ভঙ্গের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন৷

শিহাব যে নারীকে বার্তা পাঠিয়েছেন বলে অভিযোগ, তাঁর নামও সন্দেহভাজনের তালিকায় রাখা হয়েছে৷

 ইন্দোনেশিয়ার মৌলবাদি গোষ্ঠী ‘ইসলামিক ডিফেন্ডার্স ফ্রন্ট' বা এফপিআই-এর নেতা হলেন শিহাব৷ এই গোষ্ঠীটির চরমপন্থা মতবাদে বিশ্বাসী নন ইন্দোনেশিয়ার অধিকাংশ মানুষ৷ রোজার সময় বারগুলোতে অভিযান চালানোর জন্য পরিচিত এফপিআই৷ তবে গত বছর জাকার্তার তৎকালীন গভর্নর বাসুকি তিজাহাজা পুর্নামার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ আয়োজন করে দেশব্যাপী পরিচিত হয়ে ওঠে তারা৷ পুর্নামা জাকার্তার প্রথম খ্রিষ্টান গভর্নর ছিলেন৷ নির্বাচনি প্রচারণার সময় তিনি কোরান অবমাননা করেছেন, এই অভিযোগ এনে বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়েছিল৷ এর প্রতিক্রিয়ায় পুর্নামা পুনরায় গভর্নর হওয়ার ভোটে হেরে যান এবং চলতি মাসে তাঁকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়৷ পুর্নামা ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জকো উইডোডোর ঘনিষ্ঠ ছিলেন৷ গভর্নরের ঘটনায় দেশে উগ্র মৌলবাদিদের প্রভাব বাড়ছে– এই আশংকায় সরকার তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করছে৷

জেডএইচ/এসিবি (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য