পরিবেশ রক্ষায় জলাভূমি কতটা জরুরি
৩ মার্চ ২০১১ভারতের দক্ষিণী রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলাম জেলায় কথিত জলাভূমিতে মেগা তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের বিরুদ্ধে স্থানীয় কৃষি ও মৎসজীবীদের প্রতিবাদ ঘিরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয় দুব্যক্তি৷ সেখানকার পরিস্থিতি এখনো উত্তেজনাপূর্ণ৷ কৃষি ও মৎজীবীদের আশঙ্কা, জলাভূমি বুজিয়ে দিলে শুধু পরিবেশের ভারসাম্যই নয়, বিপন্ন হয়ে পড়বে তাঁদের জীবন ও জীবিকা৷
বিষয়টি সংসদে উঠলে কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রী জয়রাম রমেশ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণকার্য স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন৷ পরিবেশ অনুমোদনের কাগজপত্র নিয়ে বেসরকারি ইস্টকোস্ট এনার্জি কোম্পানিকে ৬ই মার্চ দিল্লিতে আসার নির্দেশ দেন৷ খতিয়ে দেখা হবে পরিবেশবিধি লঙ্ঘন করা হয়েছে কিনা৷ দেখা হবে যেসব তথ্যের ভিত্তিতে পরিবেশ ছাড়পত্র দেয়া হয় তা সঠিক কিনা৷ সেখানে গলদ থাকলে অনুমোদন বাতিলও করা হতে পারে, বলেন কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী৷ উল্লেখ্য, ঐ একই জেলায় নাগার্জুন কন্সট্রাকশনস নামে আরেকটি বেসরকারি কোম্পানি বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের সময় অনুরূপ আন্দোলনকালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে স্থানীয় কিছু লোক মারা যায়৷
জলাভূমি পরিবেশ রক্ষায় কতটা জরুরি, ধ্বংস করলে কীভাবে জৈববৈচিত্র্যের ভারসাম্যের ক্ষতি হয় এবং জলাভূমি স্থানীয় মানুষের জীবন ও জীবিকার সঙ্গে কতটা ওতপ্রোত, এবিষয়ে ডয়েচে ভেলেকে জানালেন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞানী অধ্যাপক সুভাষ সাঁতরা৷ জলাভূমি জৈববৈচিত্র্যের পক্ষে অপরিহার্য৷ শুখা মরশুমে বাতাসে জলীয়ভাব ধরে রাখে৷ বন্যার সময় জলস্ফীতি কমিয়ে আনে এবং জলস্রোতের পলি ও পুষ্টিকণা জলাভূমিতে আটকে রাখে৷ দ্রুত নগরায়নের ফলে জলাভুমি বোজানো হচ্ছে৷ ফলে ইকো-সিস্টেম ক্ষুন্ন হচ্ছে৷ ভারতের মোট ভৌগলিক আয়তনের ১৯% জলাভুমি এরমধ্যে ৭৮% ধানজমি৷ জলাভূমি রক্ষা করতে হলে বৈজ্ঞানিক তথ্যউপাত্তের ভিত্তিতে আইন প্রণয়ন দরকার৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক