1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যৌন সচেতনতা প্রয়োজনীয়তা

৯ জুলাই ২০১৬

কেনিয়ায় যে হারে কিশোরী অন্তঃসত্ত্বার হার বাড়ছে, বাড়ছে এইচআইভি সংক্রমণের হার বাড়ছে, তাতে জাতিসংঘের একটি সংস্থা পদক্ষেপ নিয়েছে প্রযুক্তির মাধ্যমে কিশোর-কিশোরীদের যৌন শিক্ষা দেয়ার৷

https://p.dw.com/p/1JJvd
প্রতীকী ছবি, এইচআইভি প্রতিরোধে যৌনশিক্ষা
ছবি: Getty Images/AFP/S. Maina

কিশোরী রোজমেরি যখন অন্তঃসত্ত্বা হয়েছিলেন, তখন তাঁর পরিবার লজ্জায় তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিল৷ অথচ এই সমস্যা এড়ানো যেত যদি তিনি তাঁর পরিবার থেকে নিরাপদ যৌনশিক্ষা পেতেন৷

পরিবার থেকে বের করে দিয়েছে, তাই রোজমেরির বলার সাহসই হয়নি যে তাঁর শরীরে এইচআইভি ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে৷ নাইরোবির সাইকা বস্তিতে এ রকম আরো অনেক মেয়ে আছে, যাদের প্রত্যেকেরই দেহে এইচআইভি শনাক্ত হয়েছে এবং যাদের অনেকেরই সন্তান আছে৷

রোজমেরির বয়স এখন ৩৭৷ ২০০৫ সালে তিনি একটি সংগঠন গড়ে তোলেন, যারা এইচআইভি আক্রান্ত নারীদের মানসিক সহায়তা দেয়৷ এছাড়া অল্পবয়সি মায়েরা কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেবেন, তা নিয়েও পরামর্শ দিয়ে থাকেন তারা৷

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গোটা আফ্রিকা মহাদেশে আশঙ্কাজনকহারে এইচআইভি বা এইডস-এ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে৷ তাই অবিলম্বে এঁদের যৌনশিক্ষা দেয়াটা ভীষণ জরুরি৷ একই সাথে কীভাবে তাঁরা অনাকাঙ্খিত গর্ভধারণ এড়াতে পারেন, সে শিক্ষার গুরুত্বের কথাও বলা হচ্ছে৷ তবে শুধুমাত্র স্কুল নয়, পরিবারের মানুষজনদেরও কুসংস্কার ভেঙে এ নিয়ে সন্তানদের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা৷

থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশনকে রোজমেরি জানান, যৌনশিক্ষা চালুর কথা বলা তাঁর জন্য সহজ ছিল না৷ অবশ্য বর্তমানে তাঁরই উদ্যোগে দ্য ইউনাইটেড নেশনস পপুলেশন ফান্ড বা ইউএনএফপিএ এবং নাইলাব নামে কেনিয়ার একটি ফার্ম উদ্যোগ নিয়েছে প্রযুক্তির মাধ্যমে কিশোর-কিশোরীদের যৌনশিক্ষা দেয়ার৷

চলতি মাসেই এই প্রচার শুরু হয়েছে, যার নাম ‘আই অ্যাম' বা ‘আমি'৷ এর মাধ্যমে আগামী আগস্ট পর্যন্ত কেনিয়ার মানুষ তাঁদের চিন্তাভাবনা জানাতে পারবেন যে, কীভাবে যৌনশিক্ষাকে সমাজে কাজে লাগানো যেতে পারে৷ যাঁদের চিন্তাভাবনা সবচেয়ে ভালো হবে, তেমন চারজনকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে এবং তাঁদের ভাবনাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অর্থ দেয়া হবে৷ ইউএনএফপিএ-র নির্বাহী পরিচালক বাবাটুন্ডে রয়টার্সকে জানান, ছেলে এবং মেয়েদের একসঙ্গে যৌনশিক্ষা দিতে হবে৷

এর আগে, ২০১৪ সালে, দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় যৌনশিক্ষা এবং স্কুলে জন্মনিরোধক পিল ও কনডোম দেয়ার বিষয়ে একটি বিল কেনিয়ার পার্লামেন্টে তোলা হয়েছিল, যা নিয়ে দেশজুড়ে সমালোচনা হয়৷ কারণ মানুষের মধ্যে ভয় ঢুকে যায় যে, এভাবে যৌনশিক্ষা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হলে তাঁদের সংস্কার ও মূল্যবোধ হারিয়ে যাবে৷

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, কেনিয়ায় ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সি কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে ২৯,০০০ এইচআইভি আক্রান্ত৷ এছাড়া প্রতি পাঁচজন কিশোরীর মধ্যে ‘মা' বা গর্ভবতী হচ্ছেন একজন৷ বলা বাহুল্য, ১৩,০০০ শিক্ষার্থীকে অল্প বয়সে মা হওয়ার কারণে স্কুলও ছাড়াতে হয়েছে৷

কেনিয়ার ৮০ শতাংশ মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে৷ এ কারণে প্রযুক্তির মাধ্যমেই তাঁদের যৌনশিক্ষা দেয়ার পরিকল্পনা চলছে এবার৷

এপিবি/ডিজি (রয়টার্স, এপি)

আপনি কি কিশোর-কিশোরীদের যৌনশিক্ষা দেয়ার পক্ষে? আপনার নিজস্ব যুক্তিগুলো জানান আমাদের৷ লিখুন নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান