ধর্ষণের অভিযোগ স্বীকার করলেন হেফাজত নেতা
১৪ মে ২০২১ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) আব্দুল্লাহ আল মাসুম বলেন, হাটহাজারী থানায় করা ধর্ষণের মামলায় নিজের দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন জাকারিয়া নোমান ফয়েজী৷
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জয়ন্তী রানীর আদালতে জবানবন্দি দেন হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির প্রচার সম্পাদক জাকারিয়া নোমান ফয়েজী৷
"বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ২০১৯ সাল থেকে ওই নারীর সাথে শারীরিক সম্পর্কের বিষয়টি জবানবন্দিতে স্বীকার করেছেন ফয়েজী৷” জাকারিয়া নোমান ফয়েজীকে ৬ নভেম্বর কক্সবাজারে গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রাম আনা হয়৷ ৬ নভেম্বর গভীর রাতে হাটহাজারী থানায় ফয়েজীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেন এক নারী৷ ‘বিয়ের প্রলোভন' দেখিয়ে ওই নারীর সাথে ২০১৯ সাল থেকে শারীরিক সম্পর্ক গড়ার পর বিয়ে না করে ‘প্রতারণা করায়' ওই নারী ধর্ষণের মামলাটি করেন বলে পুলিশ জানিয়েছিল তখন৷
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ফেসবুকে ওই নারীর সঙ্গে জাকারিয়া নোমান ফয়েজীর পরিচয় হয় ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে৷ পরে ফেসবুক মেসেঞ্জার ও হোয়াটঅ্যাপে আলাপ জমিয়ে ওই নারীকে ‘বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে' হাটহাজারীতে নিয়ে যান এই হেফাজত নেতা৷
বাদী জানান, ওই বছরের নভেম্বরে হাটহাজারীতে একটি বাসা ভাড়া করে তাকে রাখেন নোমান ফয়েজী এবং বিভিন্ন সময়ে তার সাথে ‘শারীরিক সম্পর্ক' করেন৷
প্রায় এক বছর পর ওই নারী হাটহাজারী থেকে চট্টগ্রাম শহরে তার খালার বাসায় চলে যান৷ তখনও নোমান ফয়েজী ‘ফুসলিয়ে বিভিন্ন বাসা ও হোটেলে নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করেন' বলে মামলায় অভিযোগ করেছেন বাদী৷ নোমানীকে গ্রেপ্তারের পর চট্টগ্রামে পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক তার একাধিক ‘বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কের' প্রমাণ পাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন৷
১১ মে সহিংসতার একটি মামলায় আদালতে জবানবন্দি দিয়ে ‘নির্দেশদাতাদের' বিষয়েও তথ্য দেন হেফাজত নেতা নোমান ফয়েজী৷
এনএস/এসিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)