যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে কড়াকড়ি
৮ মার্চ ২০১৭মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কয়েকটি মুসলিমপ্রধান দেশের মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে গিয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথমবার জোরালো ধাক্কা খেয়েছিলেন৷ প্রবল প্রতিবাদ-বিক্ষোভের পাশাপাশি আদালতের হস্তক্ষেপে সে যাত্রা পিছু হটতে হয়েছিল তাঁকে৷ কিন্তু দমে থাকার পাত্র নন ট্রাম্প৷ তাই তালিকা থেকে শুধু ইরাকের নাম বাদ দিয়ে আরও কিছু পরিবর্তন এনে দ্বিতীয় একটি তালিকা স্থির করেছেন তিনি৷ কিন্তু এবারও আইনি সংঘাত এড়াতে পারছেন না ট্রাম্প৷ প্রথম রাজ্য হিসেবে হাওয়াই প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করতে ফেডারেল আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছে৷ এর আগে প্রথম নির্বাহী আদেশের পর ওয়াশিংটন রাজ্য এমন উদ্যোগ নিয়েছিল৷ তারাও দ্বিতীয় আদেশটি খতিয়ে দেখছে৷
ট্রাম্পের দ্বিতীয় নির্বাহী আদেশ প্রথমটির তুলনায় অনেক স্পষ্ট এবং শুধুমাত্র নতুন ভিসাপ্রার্থীদের ক্ষেত্রেই এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে৷ তা সত্ত্বেও সমালোচকদের মতে, সেটি প্রথমটির মতোই সংবিধান লঙ্ঘন করছে৷ তাই এই নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধে মার্কিন সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়নসহ একাধিক প্রতিষ্ঠান পদক্ষেপের উদ্যোগ শুরু করছে৷ কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, এবারও কি ট্রাম্পের পদক্ষেপ বানচাল করা আগের মতো সহজ হবে? বিশেষজ্ঞদের মতে, অনেকগুলি কারণে চটজলদি সাফল্য পাওয়া কঠিন হবে৷
প্রথমত, ছ’টি মুসলিম প্রধান দেশের যেসব মানুষের হাতে মার্কিন ভিসা বা গ্রিন কার্ড আছে, তাঁরা নীতিগতভাবে বিনা বাধায় অ্যামেরিকায় প্রবেশ করতে পারবেন৷ তবে তাঁদের প্রত্যেকের ক্ষেত্রে আলাদা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷ তাছাড়া নির্বাহী আদেশটি ১৬ই মার্চ থেকে কার্যকর হবে৷ ফলে শরণার্থীসহ অন্যান্য মানুষ আচমকা সমস্যার মুখে পড়বেন না৷ তাই আগের বারের মতো বিমানবন্দরে অরাজকতার সম্ভাবনা অনেক কমে যাচ্ছে৷ আদালতের হস্তক্ষেপের প্রয়োজনও সেই অনুযায়ী কমে যাবার কথা৷ তবে মার্কিন কংগ্রেসের মুসলিম সদস্যরা বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার হচ্ছেন৷
অতএব পরোক্ষভাবে মুসলিমদের উপর নিষেধাজ্ঞার অভিযোগই এবার আপত্তির মূল কারণ হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে৷ তাই একাধিক সংগঠন প্রতিরোধের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে৷
এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)