1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দুবাইয়ে হামাস নেতার হত্যাকে ঘিরে রহস্য

১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১০

দুবাইয়ে ফিলিস্তিনি উগ্রবাদি গোষ্ঠী হামাসের এক নেতার হত্যাকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি ক্রমশঃ জটিল হয়ে উঠছে৷ ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ এই হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল কি না, তাও স্পষ্ট নয়৷

https://p.dw.com/p/M3PO
হামাস নেতা মাহমুদ আল মাবুর প্রতিকৃতিছবি: AP

গত মাসে দুবাইয়ের এক বিলাসবহুল হোটেলের ঘরে হামাস নেতা মাহমুদ আল মাবুর মৃতদেহ পাওয়া যায়৷ ইরান থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করে গাজায় পাচার করার ক্ষেত্রে মাহমুদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছিল বলে ইসরায়েলের সন্দেহ৷ ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ মাহমুদের হত্যার জন্য দায়ী বলে বিভিন্ন মহলে সন্দেহ করা হচ্ছে৷

মাহমুদ আল মাবুর হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশের হাতে নানা তথ্য প্রমাণ এসেছে৷ মঙ্গলবার দুবাইয়ের পুলিশ সেই সব চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছে৷ হোটেলের ক্লোজ সার্কিট টেলিভিশন ক্যামেরার দৃশ্য বিশ্লেষণ করে পুলিশের দাবি, কমপক্ষে ১১ জন বিদেশী এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিল৷ ব্রিটিশ, আইরিশ, ফরাসি ও জার্মান পাসপোর্ট নিয়ে এই ব্যক্তিরা মাহমুদ আল মাবুর হত্যার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে৷ তাদের ছবি ও পাসপোর্ট নম্বর সংবাদ মাধ্যমের কাছে প্রকাশ করা হয়েছে৷ পুলিশ তাদের নামে শমন জারি করেছে এবং তাদের আটক করতে ইন্টারপোলের সহায়তা চেয়েছে৷ আরও ৬ ব্যক্তির পরিচয় জানতে তদন্ত চলছে৷ হত্যাকারীদের সহায়তার দায়ে ২ ফিলিস্তিনিকে আটক করে জেরা করা হচ্ছে৷ ঘটনার পরেই তারা জর্ডান পালিয়ে গিয়েছিল বলে পুলিশের অভিযোগ৷ দুবাইয়ের পুলিশ প্রধান জানিয়েছেন, এমনকি কোন রাষ্ট্র যদি সরাসরি এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকে, সেক্ষেত্রে সেই রাষ্ট্রের সরকার প্রধানের বিরুদ্ধেও তিনি পদক্ষেপ নিতে প্রস্তত৷

এদিকে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের নাম প্রকাশিত হওয়ার পর ইসরায়েলে বসবাসরত ৭ ব্যক্তি দাবি করেছেন, যে দুবাই পুলিশের তালিকায় যাদের নাম ও পরিচয় উল্লেখ করা হয়েছে, তা মিলে গেলেও তারা কোনভাবেই এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত নন৷ এদের মধ্যে রয়েছেন মেলভিন অ্যাডাম মাইলডাইনার, যাঁর জন্ম ব্রিটেনে হলেও পাকাপাকিভাবে ইসরায়েলে বসবাস করেন৷ তাঁর দাবি, তিনি জীবনে কখনো দুবাইয়ে যান নি৷ তাঁর পাসপোর্টেও দুবাইয়ের কোন স্ট্যাম্প নেই৷ ব্রিটেন ও আয়ারল্যান্ডের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অভিযুক্তরা জাল পাসপোর্ট ব্যবহার করেছিল বলে তাদের বিশ্বাস৷

উল্লেখ্য, ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ অতীতে জাল পাসপোর্ট ব্যবহার করে বিদেশের মাটিতে দেশের শত্রুদের উপর হামলা চালিয়েছে৷ ১৯৯৭ সালে হামাস নেতা খালেদ মেশালের উপর বিষ প্রয়োগ করে হত্যার চেষ্টা চালাতে কানাডার পাসপোর্ট নিয়ে এজেন্টরা জর্ডানে প্রবেশ করেছিল৷ ২০০৫ সালে পাসপোর্ট জাল করার দায়ে মোসাদের চর সন্দেহে ২ ব্যক্তিকে নিউজিল্যান্ডে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল৷ সম্প্রতি হামাস ও হেজবোল্লাহ'র নেতাদের বিরুদ্ধে মোসাদ ঘনঘন গোপন অভিযান চালাচ্ছে বলে অনেক মহলে দাবি করা হচ্ছে৷

প্রতিবেদক: সঞ্জীব বর্মন, সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম