1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‌তিন দফা ভোট একদিনের ‌সিদ্ধান্ত হলো না

১৬ এপ্রিল ২০২১

পশ্চিমবঙ্গে এবার ভোট হচ্ছে আট দফায়৷ শনিবার পঞ্চম দফা৷ কোভিড পরিস্থিতিতে বাকি তিন দফা একত্রে করার সিদ্ধান্ত হলো না সর্বদল বৈঠকে৷

https://p.dw.com/p/3s7hF
ফাইল ছবিছবি: Getty Images/AFP/D. Sarkar

শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ডাকা সর্বদল বৈঠকে রাজ্যের বাকি তিন দফার ভোট একসঙ্গে হতে পারে, এমন একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল৷ কারণ সারা দেশ এবং রাজ্যেও ক্রমশ খারাপ হতে চলা কোভিড পরিস্থিতি৷ কোভিডের তথাকথিত ‘‌সেকেন্ড ওয়েভ'‌পশ্চিমবঙ্গেও আছড়ে পড়েছে৷ দ্রুত সংক্রমণ ছড়াচ্ছে এবং বিপজ্জনক হারে৷ এবং এই পরিস্থিতির জন্য চিকিৎসক–বিজ্ঞানীরা প্রত্যেকেই ভোটের প্রচার, নেতাদের জনসভা, মিছিল, পদযাত্রাকেই দায়ী করছেন৷ ভোট শেষ হওয়ার পর যদি কোভিড বিষ্ফোরণের প্রমাণ পাওয়া যায়, তাতেও অবাক হওয়ার কিছু নেই বলে সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা  মনে করছেন৷ কাজেই রাজ্যে বাকি তিন দফার ভোট একসঙ্গে হয়ে গেলে সংক্রমণ সম্ভাবনা কিছুটা অন্তত কম হতো বলেও তারা মনে করেন৷


এই পরিস্থিতিতে একমাত্র বামপন্থি দলগুলি সংযুক্ত মোর্চার তরফে ঘোষণা করেছিল, তারা আর বড় মিটিং মিছিলের আয়োজন করবে না৷ এলাকাভিত্তিক ছোট সভা হতে পারে, বাকি প্রচার হবে ভার্চুয়াল, সামাজিক মাধ্যমেই মূলত৷ এই ঘোষণায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কটাক্ষ করেন, ‘‘এমনিতেও ওদের সভায় আজকাল লোক হয় না৷ কাজেই বামপন্থিরা কী বলল, কী করল, তাতে কিছু যায় আসে না৷''এবং কোভিড পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে সভা-সমাবেশ কমিয়ে দেওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে বৃহস্পতিবারই এক টিভি সাক্ষাৎকারে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ওদের জোর বেশি যে জায়গায়, সেখানে পুরোদমে প্রচার হয়েছে৷ এবার আমাদের জোর যেখানে, আমরা সেখানে প্রচার করবো না কেন!’’

‘৬১ ভাগ ভোট হয়ে গেছে’

 ‌এই দ্বিতীয় ক্ষেত্রে ‘‌ওরা'‌বলতে মুখ্যমন্ত্রী বিজেপিকে বুঝিয়েছেন এবং পুরনো অভিযোগও ফের তুলেছেন যে, পশ্চিমবঙ্গে কেন আট দফায় ভোট হচ্ছে!‌ তার দল প্রথম থেকেই এর বিরোধী ছিল৷ কিন্তু সেটা যখন হচ্ছেই, শেষ তিন দফায় প্রচারের সুযোগ তারা ছাড়বেন না৷ তবে বাকি ওই তিন দফা এক বা দুবারে একসঙ্গে হয়ে গেলেও তাদের আপত্তি নেই৷


এই মনোভাব নিয়ে যখন রাজনৈতিক দলগুলি নির্বাচন কমিশনের ডাকা সভায় যোগ দিতে গেছে, তখনও ক্ষীণ একটা আশা ছিল যে, কোভিড সংক্রমণ রোধে কমিশনই হয়ত সঠিক পদক্ষেপ করতে পারে৷ কিন্তু আগের দিনই কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের দিল্লির দপ্তর থেকে ইঙ্গিত আসে, তিন দফার ভোট একসঙ্গে করার কোনো প্রস্তাব কমিশন অন্তত দেবে না৷ সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলগুলি সেই প্রস্তাব দিলে, সে নিয়ে আলোচনা হতে পারে৷ কিন্তু শুক্রবারের বৈঠক শেষে বোঝা গেল, কোভিড বিধি মেনে কীভাবে প্রচার চলতে পারে, সভা হতে পারে, মূলত কথা হয়েছে সেই সব নিয়েই৷ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপি নেতা স্বপন দাশগুপ্ত যেমন বললেন, ‘‌‘‌আমরা পশ্চিমবঙ্গের সব মানুষকে বলছি, যারাই কোনো রাজনৈতিক সভায় আসছেন, তারা মাস্ক পরুন এবং একটু দূরত্ব বজায় রাখুন৷'‌'‌কেন ভার্চুয়াল প্রচার করা হচ্ছে না, এই প্রশ্নের উত্তরে স্বপন দাশগুপ্তর যুক্তি, ‘‌‘‌যদি প্রথম থেকে সেটা হতো, সবকটি রাজনৈতিক দল সেটা করতো, তা হলে ভাবা যেতো৷ কিন্তু এখন ৬১% ভোট হয়ে গেছে, ৩৯% ভোট বাকি, এখন আর এটা করা যায় না৷'‌'‌ যুক্তি হিসেবে সব দলকে সমান প্রচারের সুযোগ দেওয়ার কথা বলেছেন বিজেপি নেতা৷ অর্থাৎ, বিধি-নিষেধের হাত ধরে কোভিড ভাইরাসও সমান সুযোগ পেতে চলেছে ভোটের বাংলায়৷