1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তাইওয়ানের আশেপাশে চীনের ‘শাস্তিমূলক' মহড়া

২৩ মে ২০২৪

তাইওয়ানের নতুন প্রেসিডেন্ট দায়িত্ব গ্রহণের ঠিক পরেই চীন দ্বীপরাষ্ট্রের আশেপাশে সামরিক মহড়া শুরু করেছে৷ তাইওয়ানও সামরিক প্রস্তুতি নিচ্ছে৷ তবে আপাতত উত্তেজনা বৃদ্ধির আশঙ্কা করছে না মার্কিন প্রশাসন৷

https://p.dw.com/p/4gBhz
তাইওয়ানের পাশে চীনের যুদ্ধজাহাজ
তাইওয়ানের চারপাশ ঘিরে সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীনছবি: Taiwan Coast Guard/AFP

‘বিচ্ছিন্নতাবাদী পদক্ষেপ'-এর জন্য তাইওয়ানকে ‘শাস্তি দিতে' চীন দ্বীপরাষ্ট্রের আশেপাশে দুই দিনের সামরিক মহড়া শুরু করেছে৷ তাইওয়ানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে কার্যভার গ্রহণের তিন দিন পর চীনের কড়া মনোভাব স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে৷ সোমবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম ভাষণে লাই চীনের উদ্দেশ্যে হুমকি বন্ধ করার ডাক দিয়েছিলেন৷ তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের সঙ্গে সংলাপেরও প্রস্তাব রেখেছেন৷ চীন সেই প্রস্তাব নাকচ করার পর লাই বলেন, একমাত্র তাইওয়ানের মানুষই নিজেদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে পারেন৷ অর্থাৎ, তাইওয়ানের উপর চীনের সার্বভৌমত্বের দাবি তিনি উড়িয়ে দেন৷

তাইওয়ানের নতুন নেতৃত্বের বিরুদ্ধে রোষ দেখাতে বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় পৌনে আটটা নাগাদ চীনের স্থল, নৌ ও বিমানবাহিনীর যৌথ মহড়া শুরু হয়েছে৷ তাইওয়ান প্রণালী, তাইওয়ানের উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্ব প্রান্তের পাশাপাশি তাইওয়ান-নিয়ন্ত্রিত কিনমেন, মাৎসু, উশু ও ডনজিন দ্বীপের আশেপাশেও মহড়া চলছে৷ .

চীনের আস্ফালনের প্রতিক্রিয়া হিসেবে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও তৎপরতা শুরু করেছে৷ চীনের আচরণের নিন্দা করে তাইওয়ান দ্বীপগুলির আশেপাশে সেনা মোতায়েন করেছে৷ সামরিক সরঞ্জামও প্রস্তুত রাখা হয়েছে৷ তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের দপ্তর এই আচরণের নিন্দা করে জানিয়েছে, চীন তার ‘একতরফা সামরিক উসকানি'-র মাধ্যমে দ্বীপরাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে ফেলছে৷ তবে তাইওয়ানের মানুষকে নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছে প্রেসিডেন্টের দপ্তর৷ উল্লেখ্য, বর্তমান পরিস্থিতিতে তাইওয়ানের অনেক মহল চীনের সামরিক মহড়ার আশঙ্কা করছিল৷

চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম মানচিত্রে সামরিক মহড়ার এলাকাগুলি চিহ্নিত করেছে৷ তাতে তাইওয়ান ও সে দেশ নিয়ন্ত্রিত দ্বীপগুলির আশেপাশের পাঁচটি এলাকা স্পষ্ট করে তুলে ধরা হয়েছে৷

তবে তাইওয়ানের কর্মকর্তাদের মতে, চীন এখনো তাইওয়ানের জলসীমা লঙ্ঘন করে নি৷ তাছাড়া চীন কোনো ‘নো ফ্লাই জোন' ঘোষণা করে নি৷ চীনের স্থলবাহিনী ও রকেট বাহিনীর কোনো বড় আকারের তৎপরতাও লক্ষ্য করা যাচ্ছে না৷ ফলে অনেক পর্যবেক্ষক এই মহড়াকে রাজনৈতিক সংকেত হিসেবে বিবেচনা করছেন৷

তাইওয়ানকে ঘিরে চীনের সামরিক মহড়া মানচিত্র
তাইওয়ানের চারপাশে কোন কোন এলাকায় সামরিক মহড়া চালানো হবে, তার একটি মানচিত্র প্রকাশ করেছে চীনের সেনাবাহিনীছবি: https://mil.huanqiu.com

মার্কিন প্রশাসন তাইওয়ানের আশেপাশে চীনের সামরিক মহড়া সম্পর্কে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছে৷ সে দেশের ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ডের উপ-প্রধান জেনারেল স্টিফেন সক্লেনকা বৃহস্পতিবার বলেছেন, চীনের এমন আচরণ প্রত্যাশিত ছিল৷ তিনি বেইজিং-এর উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা হিসেবে আঞ্চলিক দেশগুলির পক্ষ থেকে এমন সামরিক মহড়ার প্রকাশ্য নিন্দার ডাক দিয়েছেন৷ তবে সক্লেনকা-র মতে, এমন আস্ফালণের মাধ্যমে চীন আন্তর্জাতিক সমাজ নয়, বরং মূলত নিজস্ব বাসিন্দাদেরই বার্তা পাঠাতে চাইছে৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য