ঢাকা মেডিক্যালের করুণ দশা
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ বাংলাদেশের অন্যতম বড় চিকিৎসা কেন্দ্র৷ সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষের চিকিৎসার অন্যতম ভরসাস্থলও এটি৷ তবে গুরুত্বপূর্ণ এ হাসপাতালটিতে চিকিৎসা নিতে আসা মানুষরা নানান সমস্যার সম্মুখীন হন৷
বহু পুরনো হাসপাতাল
ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল৷ ১৯৪৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এ হাসপাতালটি বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল৷ সরকারি এ হাসপাতালটি ২০১৫ সালে প্রায় আট লক্ষ রোগীকে সেবা প্রদান করেছে৷
জরুরি বিভাগ
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে প্রতিদিন ভিড় করেন অসংখ্য রোগী৷
ভিড় লেগেই থাকে
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের টিকেট কাউন্টারের সামনে চিকিৎসা নিতে আসা মানুষের ভিড়৷ স্বল্প খরচে চিকিৎসার জন্য এ হাসপাতালটি একটি ভালো জায়গা৷ মাত্র ১০ টাকা টিকেট এবং ১৫ টাকা ফি দিয়ে এ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি হতে পারেন একজন রোগী৷
ব্যস্ত চিকিৎসক
ঢাকা মেডিক্যালের জরুরি বিভাগে চিকিসায় নিয়োজিত দু’জন চিকিৎসক৷ প্রয়োজনের তুলনায় চিকিৎসকের সঙ্কট রয়েছে হাসপাতালটিতে৷
প্রাথমিক চিকিৎসার পর...
জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা৷ এখানে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা দেয়ার পর নির্দিষ্ট বিভাগে পাঠানো হয় রোগীদের৷
মেঝেতে রোগী
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের একটি ওয়ার্ডের চিত্র৷ বিছানা না পাওয়ায় হাসপাতালের মেঝেতে শুয়েই চিকিৎসা নিতে হয় অনেককে৷
প্রতিদিন চারশ’ নতুন রোগী
এটি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আরেকটি ওয়ার্ড৷ প্রতিদিন এ হাসপাতালটিতে কমপক্ষে চারশ নতুন রোগী ভর্তি হন৷
বারান্দায় রোগীর ভীড়
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ডগুলোতে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত রোগী থাকায় হাসপাতালের বারান্দায়ও রোগীদের অবস্থান নিতে হয়৷ ২৬০০ শয্যার এ হাসপাতালটিতে দিনে ৩৬০০-৪০০০ রোগীর সেবা দিতে হয়৷
নিম্নমানের খাবার সরবরাহের অভিযোগ
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রোগীদের জন্য সরবরাহ করা হচ্ছে খাবার৷ তবে এ খাবারের মান নিয়ে রোগীদের অনেক অভিযোগ আছে৷ অনেক রোগী অভিযোগ করেছেন, তাদের যে খাবার দেয়া হয়, তা খুবই নিম্নমানের৷
গরমে স্বস্তির সন্ধান
ওয়ার্ডের ভেতরে গাদাগাদি অবস্থা আর অস্বাভাবিক গরম৷ এই রোগীকে তাই তার স্বজনরা স্যালাইনসহ বাইরে নিয়ে এসেছেন একটু স্বস্তি দিতে৷
দালালদের খপ্পরে পড়েন অনেকে
প্যাথোলজিক্যাল বিভিন্ন পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিক্যালে সঠিক সেবা পান না রোগীরা৷ সেজন্য অনেক সময় দালালদের খপ্পরেও পড়তে হয় তাঁদের৷