ড. ইউনূস পদত্যাগ করেছেন, করেননি
২৪ ডিসেম্বর ২০১০টিআইবি'র প্রতিবেদন
বেশিরভাগ পত্রিকার আজকের প্রধান খবর সেবা খাতে দুর্নীতি নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ বা টিআইবি'র প্রতিবেদন৷ বৃহস্পতিবার যেটা প্রকাশিত হয়েছে৷ তবে একেক পত্রিকা প্রতিবেদনের একেক অংশকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে৷ এর মধ্যে বিচার বিভাগ দুর্নীতিতে এগিয়ে, এই বিষয়টাকে প্রধান শিরোনাম করেছে প্রথম আলো, ইত্তেফাক, কালের কণ্ঠ ও যুগান্তর৷ আর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের শিরোনাম দুদকের চেয়ারম্যানের বক্তব্য দিয়ে৷ তিনি টিআইবি'র প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন৷ সেখানে তিনি বলেন দুর্নীতির ব্যাপকতা টিআইবি'র জরিপের চেয়ে বেশি৷ আর ডেইলি স্টার তিনটি বিষয়কে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে৷ তারা বলছে বিচার বিভাগে দুর্নীতি বেড়েছে আর আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দুর্নীতি কমেছে৷ এছাড়া সেবা পেতে একেকজনকে গড়ে প্রায় পাঁচ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে, প্রতিবেদনে পাওয়া এই তথ্যটিকেও বেশ গুরুত্ব দিয়ে ছেপেছে ডেইলি স্টার৷
ড. ইউনূস
সমকাল আর যুগান্তরে ইউনূসের পদত্যাগের খবর বের হওয়ার পর চারদিকে সেটা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়৷ সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রীর কাছে বিষয়টি জানতে চান সাংবাদিকরা৷ কারণ প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে যে, ইউনূসের পদত্যাগপত্র অর্থমন্ত্রীর কাছে রয়েছে৷ কিন্তু বিষয়টি অর্থমন্ত্রী এড়িয়ে যান৷ অর্থাৎ সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি হ্যাঁ বা না কিছুই বলেননি৷ এছাড়া গ্রামীণ ব্যাংক থেকে জানানো হয়, প্রতিবেদনটি ভুয়া৷ ব্যাংকের সব শাখায় এ ব্যাপারে নোটিশও পাঠায় গ্রামীণ ব্যাংক৷ কিন্তু আজকের সমকাল আর যুগান্তরে বলা হয়েছে যে, তারা অর্থমন্ত্রীর স্বাক্ষর করা সরকারি একটি চিঠি থেকে তথ্যটি পেয়েছেন৷ যেখানে অর্থমন্ত্রী নিজেই স্বীকার করেছেন যে, তিনি পদত্যাগপত্র পেয়েছেন৷ কালের কণ্ঠের অনলাইন সংস্করণে অর্থমন্ত্রীর ঐ চিঠিটিই স্ক্যান করে দিয়ে দেয়া হয়েছে৷ সেখানে অর্থমন্ত্রীর স্বাক্ষর রয়েছে৷ আর চিঠির প্রথম পয়েন্টেই অর্থমন্ত্রী লিখেছেন, ‘‘অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইতিমধ্যে তাঁর পদত্যাগপত্র আমার কাছে জমা দিয়েছেন৷''
সালাহউদ্দীন কাদের চৌধুরী
চৌধুরী'কে নিয়ে কয়েকটি খবর আছে আজ৷ এর মধ্যে একটি হচ্ছে, চট্টগ্রামে তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার খবর৷ আর তাঁর মুক্তি চেয়েছেন বিএনপি দলীয় সাংসদরা৷ এদিকে ইত্তেফাক বলছে, তাঁকে গতকাল নারায়ণগঞ্জ কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই