ড. ইউনূসের অপসারণ বৈধ ও আইনসম্মত : আদালত
৮ মার্চ ২০১১আদালত বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক ড. ইউনূসকে অপসারণের যে আদেশ দিয়েছে, তা বৈধ এবং আইনসম্মত হয়েছে৷ ড. ইউনূসের ৬০ বছর বয়স সীমা অতিক্রম করার পর তার কার্যকালকেও অবৈধ বলে মন্তব্য করেন আদালত৷ আর ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন বলেছেন, তারা ন্যায় বিচার পাননি৷ ড. ইউনূসের সঙ্গে আলোচনা করে তারা পরবর্তী আইনী পদক্ষেপ নেবেন৷ গ্রামীণ ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ব্যাংক কোনভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হবেনা৷ ড. ইউনুস এখনো তার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন৷
হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মমতাজ উদ্দিন আহমেদ এবং বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর বিকেল ৩টার কয়েক মিনিট পর তাদের আদেশ দেয়া শেষ করেন৷ তারা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে করা ২টি রিট আবেদনই খারিজ করে দেন৷ আদালত বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নিয়োগের ব্যাপারে ১৯৯৯ সালের পর বাংলাদেশ ব্যাংকের কোন অনুমোদন নেয়া হয়নি৷ এমনকি বয়স ৬০ বছর উত্তীর্ণ হওয়ার পরও কোন অনুমোদন নেয়নি৷ আদালত মন্তব্য করেন, ৬০ বছরের পর ড. ইউনূসের কার্যকাল অবৈধ৷ তাই বাংলাদেশ ব্যাংক তাকে অপসারণের আদেশ দিয়ে সঠিক আইনী পদক্ষেপ নিয়েছে৷ যা সাংবাদিকদের জানান এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম৷ তিনি আদালতের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, কোন প্রতিষ্ঠান এক ব্যক্তি নির্ভর হতে পারেনা৷ আদালত তার রায়ে এবং পর্যবেক্ষণে তা পরিষ্কার করেছেন৷ আইন সবার জন্য সমান৷
তিনি সাংবাদিকদের অন্য এক প্রশ্নের জবাবে জানান, পার্বত্য শান্তি চুক্তির জন্য শেখ হাসিনা এবং সন্তু লারমার নোবেল পুরস্কার পাওয়া উচিত ছিল৷
রায়ের পর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন বলেন তারা ন্যায় বিচার পাননি৷ ড. ইউনূসের সঙ্গে আলাপ করে পরবর্তী আইনী পদক্ষেপ নেবেন৷
এদিকে গ্রামীণ ব্যাংকের পক্ষ থেকে উপ-মহাব্যবস্থাপক এবং মিডিয়া সমন্বয়কারী জান্নাত কাওনাইন জানিয়েছেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস এখনো তার কাজ করেছেন৷ তিনি নিয়মিত অফিস করছেন৷ গ্রামীণ ব্যাংক কোন ক্ষতি বা ঝুঁকির মুখে পড়বেনা৷ তবে হাইকোর্টের আদেশে তারা ব্যথিত৷
গত বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে অপসারণের আদেশ দেয়৷ পরদিনই ড. ইউনূস এই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করেন৷ পরে আরো একটি রিট করেন পরিচালকরা৷ ৩ দিন শুনানির পর আজ আদেশ দেয়া হল৷ আদেশের সময় ড. ইউনূস আদালতে উপস্থিত ছিলেন না৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন