মুঠো ব্যাংক
২১ ডিসেম্বর ২০১২হাতে লেখা চিঠির যুগ প্রায় শেষ৷ আর যাও আছে, সে সব পোস্ট করার জন্য মানুষ যায় কুরিয়ার সার্ভিসে৷ তাই বাংলাদেশের সরকারি ডাকঘরগুলো তার জৌলুস হারিয়েছে অনেক আগেই৷ কিন্তু নতুন এক সম্ভাবনা নিয়ে আসছে মুঠো ব্যাংকিং৷ এই ব্যাংকিং-এ ডাকঘরে মাত্র ১০ টাকায় অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে৷ আর ঐ অ্যাকাউন্টের টাকা লেনদেন বা টাকা পরিশোধ করা যাবে যে কোনো মোবাইল ফোন থেকে৷ টাকা পাঠানো যাবে দেশের যে কোনো এলাকায়৷ আসল কথা, এ জন্য ‘সার্ভিস চার্জ' দিতে হবে প্রতি হাজারে মাত্র ৩ টাকা৷ ফলে হাতে লেখা চিঠিপত্রের প্রতি প্রবল অনীহার এই যুগে ডাকঘরগুলো ফিরে পাবে নতুন জীবন৷
এ সব তথ্য ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন পোস্ট অফিস মুঠো ব্যাংক তৈরির কাজে নিয়োজিত কমলিংক-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমজাদ এইচ খান৷ তিনি জানান, ১৬ই ডিসেম্বর থেকে তারা কাজ শুরু করেছেন৷ আর ইতিমধ্যেই ডাকঘরগুলো তাদের গ্রাহক সেবা শুরু করে দিয়েছে৷
বাংলাদেশে মোট ১০ হাজার ডাকঘর আছে৷ সম্মিলিতভাবে বাংলাদেশের সব ব্যাংকের এতগুলো শাখা নেই৷ তাই এর বাইরে আরো ১ লাখ এজেন্ট নিয়োগ করা হবে মুঠো ব্যাংক-এর জন্য৷ তিনি আশা করেন, আগামী দু'বছরের মধ্য ডাকঘরগুলো ব্যাপক আগ্রহের কেন্দ্রে পরিণত হবে৷
ডাকঘরে এই মুঠো ব্যাংকের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রয়োজনীয় অনুমোদন নেয়া হয়েছে৷ তবে এই পর্যায়ে এক ব্যক্তি একবারে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পাঠাতে পারবেন৷ পরে এই সীমা বাড়ানো হবে৷ আর ডাকঘরের মুঠো ব্যাংকে টাকা জমা রাখার জন্য দেয়া হবে সুদও৷