1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ট্রাম্প এবার ‘তদন্তকারীদের তদন্ত' শুরু করলেন

২৪ মে ২০১৯

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অ্যাটর্নি জেনারেলকে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তের তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন৷ গোয়েন্দা সংস্থাগুলিকেও এ কাজে সহায়তার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি৷ এদিকে বিরোধী দলের সঙ্গে তীব্র সংঘাত শুরু হয়ে গেছে৷

https://p.dw.com/p/3Izlc
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ডেমোক্র্যাটিক দলের নেতা ন্যান্সি পেলোসি
ছবি: Getty Images/AFP/S. Loeb

২০১৬ সালে ট্রাম্প টিমের সঙ্গে রাশিয়ার সঙ্গে অশুভ আঁতাত নিয়ে তদন্তে আপাতত রেহাই পেয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট পালটা আঘাত হানার প্রস্তুতি নিচ্ছেন৷ এমন মারাত্মক অভিযোগ ও তদন্তের উৎস নিয়ে তিনি অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার-কে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন৷ সেইসঙ্গে সব মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাকে এ কাজে সহযোগিতার নির্দেশ দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ ‘তদন্তকারীদের তদন্ত' তাঁর কাছে মানসম্মান রক্ষার বিষয় হয়ে উঠেছে৷

রবার্ট মালারের নেতৃত্বে তদন্তের ফলাফলের নিজস্ব ব্যাখ্যা দিয়ে ট্রাম্প নিজেকে নির্দোষ হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন৷ অথচ তদন্তের রিপোর্টে সরাসরি ট্রাম্প-কে সরাসরি দোষী সাব্যস্ত না করলেও মালার অনেক অসঙ্গতির প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করেছেন৷ মার্কিন কংগ্রেস সম্পূর্ণ রিপোর্ট প্রকাশের দাবিতে অটল রয়েছে এবং অনেক বিষয় খোলাসা করতে প্রশাসনের একাধিক ব্যক্তিকে তলব করেছে৷ হোয়াইট হাউস যতটা সম্ভব বাধা সৃষ্টি করে সেই উদ্যোগ বানচাল করার চেষ্টা চালাচ্ছে৷ ফলে বিরোধী ডেমোক্র্যাটিক দলের মধ্যে ট্রাম্প-কে পদচ্যুত করার ডাক জোরদার হচ্ছে৷

‘তদন্তকারীদের তদন্ত' নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের এই তাগিদের পরিণতি মারাত্মক হতে পারে বলে অনেক মহল মনে করছে৷ সাম্প্রতিক কোনো তদন্ত সংক্রান্ত নথিপত্রের উপর থেকে গোপনীয়তার ঢাল তুলে নেবার প্রশ্নে এফবিআই-সহ মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলি তীব্র প্রতিরোধ করে থাকে৷ অথচ ট্রাম্প বার-কে ঠিক সেই নির্দেশ ও সম্পূর্ণ কর্তৃত্ব দিয়েছেন৷ বার ইতোমধ্যেই কনেকটিকাট রাজ্যের অ্যাটর্নিকে রাশিয়া কেলেঙ্কারির তদন্তের উৎস নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন৷ তদন্তের সময় নজরদারি ও গুপ্তচরবৃত্তির যে কৌশল অবলম্বন করা হয়েছিল, তা আইন মেনে প্রয়োগ করা হয়েছিল কিনা, বার সে বিষয়ে রিপোর্ট চেয়েছেন৷ উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বারবার তাঁর প্রচার টিমের উপর গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ করে আসছেন৷

এদিকে ডেমোক্র্যাটিক দলের নেতা ও সংসদের নিম্ন কক্ষের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি ও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মধ্যে সংঘাত আরো তীব্র মাত্রা ধারণ করছে৷ পেলোসি মনে করেন, ট্রাম্প অধীর আগ্রহে তাঁর বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন৷ তাঁর মতে, ডেমোক্র্যাটিক দল তড়িঘড়ি করে এমন কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় ট্রাম্প ক্ষুণ্ণ হচ্ছেন৷ প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প মানসিকভাবে কাজ করার যোগ্য কিনা, পেলোসি সেই প্রশ্নও তোলেন৷ এমনকি ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মহলের কাছে তিনি ‘দেশের স্বার্থে' হস্তক্ষেপের ডাক দিয়েছেন৷

ট্রাম্প নিজেও পেলোসি সম্পর্কে তীব্র বিরক্তি প্রকাশ করছেন৷ তাঁর নেতৃত্বে ডেোমক্র্যাটিক দল যেভাবে প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে একের পর এক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে, সে বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে চলেছেন ট্রাম্প৷ এমনকি জাতীয় স্তরে অবকাঠামোর উন্নয়ন নিয়ে দুই দলের নেতাদের আলোচনার সময়েও ট্রাম্প আচমকা ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যান৷

এসবি/এসিবি (এপি, এএফপি)