1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ট্রাম্পের কাছে অভিযোগ করায় মামলা!

৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯

মিয়ানমারের সামরিক সরকার খ্রিস্টানদের উপর নিপীড়ন চালাচ্ছে বলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে জানিয়েছেন দেশটির এক খ্রিস্টান ধর্মীয় নেতা৷ এ কারণে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী৷

https://p.dw.com/p/3PAF5
Kachin-Konflikt in Myanmar
ছবি: picture-alliance/AP Photo/Labram Hkun Awng

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার ব্যক্তিরা গত জুলাই মাসে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেন৷ সেখানে মিয়ানমারের কাচিন রাজ্যের খ্রিস্টান নেতা হাকালাম স্যামসন উপস্থিত ছিলেন৷ ট্রাম্পকে তিনি বলেন, ‘‘মিয়ানমারের সামরিক সরকারের দ্বারা খ্রিস্টানরা নিপীড়িত ও নির্যাতিত হচ্ছেন৷''

সামরিক বাহিনীর কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় ট্রাম্পকে ধন্যবাদও জানান স্যামসন৷ এটি ‘খুব সহায়ক' হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি৷

সপ্তাহখানেক আগে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী স্যামসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে৷ ‘‘আমার মনে হয়, সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে ট্রাম্পকে আমার সমর্থনের কথা জানানোয় আমাকে অভিযুক্ত করার চেষ্টা চলছে,'' রয়টার্সকে জানান স্যামসন৷

এদিকে, স্যামসনের বিরুদ্ধে মামলার খবরে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র৷ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মর্গান ওর্টাগাস বলেন, ‘‘এই মামলার মাধ্যমে অন্যায়ভাবে তাঁর বাকস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা চলছে৷'' স্যামসনকে গ্রেপ্তারের সিদ্ধান্ত হলে তা ‘খুবই উদ্বেগের' হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি৷

স্যামসন যে অনুষ্ঠানে ট্রাম্পের কাছে অভিযোগ করেছিলেন সেখানে বাংলাদেশের প্রিয়া সাহাও উপস্থিত ছিলেন৷ তাঁর বক্তব্যও বাংলাদেশে বিতর্ক তৈরি করেছিল৷ তিনি ট্রাম্পকে বলেছিলেন, ‘‘বাংলাদেশ থেকে ৩ কোটি ৭০ লাখ (৩৭ মিলিয়ন) সংখ্যালঘু হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ‘নাই' (ডিসঅ্যাপিয়ার্ড) হয়ে গেছে৷ এখনো সেখানে ১ কোটি ৮০ লাখ সংখ্যালঘু মানুষ থাকে৷  আমি আমার বাড়ি হারিয়েছি৷ তারা বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে৷ আমার জমি ছিনিয়ে নিয়েছে৷ কিন্তু কোনও বিচার হয়নি৷''

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রিয়া সাহাকে ‘দেশদ্রোহী' অভিহিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছিলেন৷ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও৷

প্রিয়া সাহাকে গ্রেপ্তার করা হবে কিনা, তা মার্কিন প্রশাসন জানতে চেয়েছিল বলে সেই সময় জানিয়েছিলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন৷

জেডএইচ/কেএম (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য