1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

টাইগার মেট এর তাণ্ডবে দিশেহারা ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’

৯ জানুয়ারি ২০১১

বাংলাদেশের ওয়েব ব্যবস্থায় রীতিমত তাণ্ডব চালাচ্ছে ‘টাইগার মেট’৷ কে বা কারা এই চক্রের পেছনে আছে তা এখনো জানা যায়নি৷ তবে, কমপক্ষে ৯১৯টি ওয়েবসাইটকে আক্রান্ত করেছে টাইগার মেট৷

https://p.dw.com/p/zvNi
শনিবার সন্ধ্যায় গুগল এর বাংলাদেশ ডোমেইন আক্রান্ত হয় (ফাইল ফটো)ছবি: Google

বাংলাদেশ সময় শনিবার সন্ধ্যার দিকে গুগল ডটকম ডটবিডি হঠাৎ বদলে যায়৷ সেখানে প্রদর্শিত হতে থাকে, 'Hacked by TiGER-M@TE', 'owned by TiGER-M@TE'৷ ইন্টারনেট বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশের কান্ট্রি ডোমেইন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে একটি চক্র গুগল ডটকম ডটবিডি সহ কয়েক শত ডোমেইনের গতিপথ বদলে দিয়েছে৷

তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সুমন আহমেদ সাবের এই প্রসঙ্গে বলেন, আক্রান্ত ডোমেইনগুলোর রুট ডিএনএস সার্ভার যেভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা উচিত ছিল, সেভাবে করা হয়নি৷ তাছাড়া এগুলো সুরক্ষায় এখনো পুরাতন সফটওয়্যার ব্যবহার করা হচ্ছে৷

সুমন আহমেদ মনে করেন, বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান বিটিসিএল এর গাফেলতির কারণেই এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে৷ ডটবিডি-যুক্ত ডোমেইনগুলো সুরক্ষার দায়িত্ব বিটিসিএল এর উপরই বর্তায়৷

এই বিষয়ে মন্তব্যের জন্য বিটিসিএল কার্যালয়ে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করা হলেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি৷

সাইবারক্রাইম সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশকারী ওয়েবসাইট জোনড্যাশএইচ ডটঅর্গ জানাচ্ছে, গত বছরের আগস্ট মাস থেকে বিভিন্ন ওয়েবসাইটের উপর হামলা চালাতে শুরু করে ‘টাইগার মেট' চক্র৷ এখন পর্যন্ত ৯১৯টি ওয়েবসাইটকে আক্রান্ত করেছে এই চক্র৷ এগুলোর অধিকাংশই ডটবিডি যুক্ত ওয়েবসাইট৷

ইতিমধ্যে অবশ্য টাইগার মেট-এর হানায় ক্ষতিগ্রস্ত অনেক ডোমেইন আগের অবস্থায় ফিরে গেছে৷ লিনাক্স ডটঅর্গ ডটবিডি-র মতো কয়েকটি আক্রান্ত সাইট তদন্তের স্বার্থে বন্ধ রয়েছে৷

বলাবাহুল্য, বাংলাদেশের বিভিন্ন ওয়েবসাইট এর আগেও আক্রান্ত হয়েছে৷ সরকারি ওয়েবসাইট ছাড়াও ব়্যাব এর ওয়েবসাইট হ্যাক হয় ২০০৮ সালে৷ ঐ ঘটনায় একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল৷

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় আশি লাখ৷ শীঘ্রই এই সংখ্যা কোটি ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ তবে, ব্যবহারকারী বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ইন্টারনেট নিরাপত্তা বিষয়েও সতর্কতা বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট খাতের কর্তাব্যক্তিরা৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: ফাহমিদা সুলতানা

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য